ছাত্রকে বলাৎকার চেষ্টা ও ভয়াবহ নির্যাতনের অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেপ্তার
বরিশালে মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে এক ছাত্রকে বলাৎকার চেষ্টা ও ভয়াবহ নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় শনিবার বিকেল ৫টার দিকে জোবায়ের আহমেদ নামে ওই মাদ্রাসাশিক্ষককে আটক করে পুলিশ। পরে শিশুটির বাবা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মহানগরের এয়ারপোর্ট থানায় শনিবার রাত ১২টার দিকে একটি মামলা করলে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে।
রোববার (২৯ আগস্ট) দুপুরের পরে তাকে আদালতে তোলা হবে বলে নিশ্চিত করেছেন বরিশাল এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কমলেশ চন্দ্র হালদার।
এর আগে সদর উপজেলার ভাঙ্গার পোল এলাকার পূর্ব ধর্মাদী জামেউল উলুম মাদ্রাসার হেফজখানায় বুধবার রাত থেকে শুক্রবার রাত পর্যন্ত ওই মাদ্রাসাছাত্রের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে।
শিশুটির বাবা জানান, তার ৮ বছরের ছেলে আবু তালহা জামেউল উলুম মাদ্রাসার ছাত্র। বুধবার রাতে তার ছেলেকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করেন শিক্ষক জোবায়ের। এতে বাধা দিলে জোবায়ের প্রথমে তার ছেলেকে মারধর করেন। পরে তিনি (জোবায়ের) ছেলেটির বিভিন্ন স্থানে কামড় দেন। পাশাপাশি বুকের ওপর গ্যাসের সিলিন্ডার রাখাসহ বিভিন্নভাবে ছেলেটিকে নির্যাতনও করেন।
ওই ব্যক্তি আরও জানান, পরের দিন বিষয়টি নিয়ে মাদ্রাসার সভাপতি ছালামের কাছে অভিযোগ করলে ক্ষিপ্ত হয়ে তার ছেলেকে আবারও মারধর করেন জোবায়ের। শুক্রবার সারা দিন পুকুরে চুবানো, মল খাওয়ানোসহ বিভিন্নভাবে শাস্তি দেয়ায় রাতে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তার পরিবারকে খবর দেয়া হয়।
খবর পেয়ে শিশুটির বাবা তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। শিশুটি পরিবারকে সব খুলে বললে তার বাবা বিষয়টি পুলিশকে জানায়।
এ বিষয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘শিশুটির শারীরিক সুস্থতার জন্য চিকিৎসা চলছে। তবে মানসিকভাবে সে বেশি আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে আছে।’
এ বিষয়ে বরিশাল এয়ারপোর্ট থানার ওসি কমলেশ চন্দ্র হালদার জানান, ঘটনা জানার পরই অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করা হয়। পরে ওই রাতেই শিশুটির বাবার করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
এ বিষয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ উত্তরের উপকমিশনার মোহাম্মদ জাকির হোসেন মজুমদার জানান, প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।