২৫ আগস্ট ২০২১, ২০:৪২

হবিগঞ্জ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের স্থগিত কমিটির সভাপতি সাইদুর রহমান (বায়ে) ও সাধারণ সম্পাদক মহিবুর রহমান মাহি  © ফাইল ফটো

জেলা পরিষদ ফটকের সামনে সাংবাদিকদের মারধর করে মোটরসাইকেল, ক্যামেরা ও মোবাইল ছিনতাইয়ের অভিযোগে হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের স্থগিত কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ সাতজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। গত ১৬ আগস্ট হবিগঞ্জের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়াসিন আরাফাত এই আদেশ দেন।

বাদীর আইনজীবী শিবলী খায়ের সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের গেটের সামনে রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলার তথ্য ও সংবাদ সংগ্রহের সময় দৈনিক আমার হবিগঞ্জ পত্রিকার সাংবাদিকদের মারধর করে মোটরসাইকেল, ক্যামেরা এবং মোবাইল ছিনতাই করে একদল দুর্বৃত্ত। এ ঘটনায় পরদিন ওই পত্রিকার প্রধান প্রতিবেদক তারেক হাবিব বাদী হয়ে হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের স্থগিত কমিটির সভাপতি সাইদুর রহমানকে প্রধান আসামি করে নয়জনের নাম উল্লেখ করে হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। মামলা নম্বর- সিআর ৫/২১।

আইনজীবী আরও বলেন, বিচারক মামলার শুনানি শেষে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেন। গত ১৮ জুলাই পিবিআই তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা পেয়ে সাতজনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করে। ১৬ আগস্ট বিচারক প্রতিবেদন আমলে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয় খুলে সশরীরে পরীক্ষা চায় জাককানইবি ছাত্রলীগ

আদালতের বেঞ্চ সহকারী খালেদ আহম্মেদ বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা সংশ্লিষ্ট থানায় পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা আসামিরা হলেন হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের স্থগিত কমিটির সভাপতি সাইদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মহিবুর রহমান মাহি, শহরতলীর বড় বহুলা গ্রামের যুবলীগ নেতা সাব্বির আহমেদ রনি, শহরের পুরান মুন্সেফি এলাকার কৌশিক আচার্য্য পায়েল, যশেরআব্দা এলাকার সৈকত দেবনাথ ও অজ্ঞাত দুইজন।

মামলার বাদী তারেক হাবিব বলেন, আদালতে মামলা দায়ের করায় ইতোমধ্যে তাঁকে নানাভাবে হুমকি দিয়ে মিথ্যা মামলায় জড়ানোসহ তাঁর ওপর একাধিকবার হামলার চেষ্টা চালানো হয়েছে। তাঁর ছবি ও নাম ব্যবহার করে ফেইক আইডি তৈরি করে হয়রানির চেষ্টা করে আসছে। তিনি জানমালের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও জানান।

পদ-বাণিজ্য, চাঁদাবাজি, গরু চুরির মামলা, পত্রিকা অফিসে হামলা, ইয়াবা ইস্যু, মন্ত্রীকে নিয়ে কুরুচির্পূণ মন্তব্যসহ নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে অভিযুক্ত হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ।