পাহাড়ি ঝর্ণায় রোহিঙ্গা ডাকাতের হাতে জিম্মি ৮ কলেজছাত্র
কক্সবাজারের টেকনাফে পাহাড়ি ঝর্ণা থেকে অপহৃত ৮ কলেজ পড়ুয়া যুবককে এক ঘণ্টা পর ছেড়ে দিল রোহিঙ্গা ডাকাত দলের সদস্যরা। শুক্রবার (২০ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় টেকনাফের পানখালী ঢালাস্থল পাহাড়ি স্বপ্নপুরী নামক ঝর্ণায় গোসল করার সময় একদল মুখোশধারী ডাকাত অস্ত্রের মুখে তাদের জিম্মি করে। সাড়ে ১১টার দিকে মারধর করে তাদের কাছ থেকে মোবাইল ও টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এক ঘণ্টা পর তাদের ছেড়ে দেয়।
ভিকটিমদের বরাত দিয়ে স্থানীয় মো. মাজেদ নামে একজন জানান, আমার ভাতিজা মিজান তার কলেজের বন্ধুদের সঙ্গে পাহাড়ি স্বপ্নপুরী নামের ঝর্ণায় বেড়াতে যান। সেখানে হঠাৎ অস্ত্রধারী পাহাড়ি ডাকাতরা তাদের ঘিরে ফেলে। এ সময় তাদের কয়েকজন সহপাঠী পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। তাদের মাধ্যমে জানতে পারি ভাতিজাসহ আরও ১৩ জন যুবককে ঘিরে রাখে ডাকাতরা। বিষয়টি জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে জানাই। তাদের কাছ থেকে মোবাইলসহ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে এক ঘণ্টার পর তাদের ছেড়ে দেয় এবং বিষয়টি কাউকে না জানাতে হুমকি দেয়।
হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী জানান, তার এলাকায় পর্যটন সম্ভবনাময় স্পট পাহাড়ি স্বপ্নপুরী ঝর্ণা। সেখানে অনেকে বেড়াতে যান। আবার অনেকে ঝর্ণায় গোসলে নামেন। শুক্রবার সকালে স্থানীয় কলেজ পড়ুয়া যুবকরা ঝর্ণায় নামেন। এ সময় রোহিঙ্গা ডাকাতরা তাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। এতে কয়েকজন পালিয়ে গেলেও আটজনকে আটকে রাখে। পরে তাদের মারধর করে মোবাইল ও টাকা নিয়ে এক ঘণ্টা পর তাদের ছেড়ে দেয়।
তিনি আরও জানান, পুলিশ তাদের সঙ্গে কথা বলছে। দিন দিন রোহিঙ্গা ডাকাত দলের হাতে অপহরণের ঘটনা বাড়ছে। মুক্তিপণ না দিলে মেরে ফেলা হচ্ছে। এজন্য সেখানে পুলিশের টহল বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছি।
এদিকে অপহরণের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, ভিকটিমদের সঙ্গে কথা বলে এ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।