নিখোঁজ শিক্ষকের খণ্ডিত লাশের পাঁচ টুকরা উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৩
সাভারে মিন্টু চন্দ্র বর্মণ নামে নিখোঁজ এক কলেজ শিক্ষকের খণ্ডিত মরদেহের পাঁচ টুকরা উদ্ধার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এ ঘটনায় প্রধান আসামিসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ সোমবার (৯ আগস্ট) সাভারের রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মিন্টু চন্দ্র বর্মণের (৩৬) লাশ উদ্ধারে অভিযান চালায় র্যাব।
নিহত মিন্টু চন্দ্র বর্মণ সাভার রেসিরডনশিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ। তিনি লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের বাড়াইপাড়া গ্রামের শরত বর্মণের ছেলে।
র্যাব বলছে, স্কুলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে তাঁকে খুন করা হয়। মিন্টু বর্মণকে হত্যার পর লাশ ছয় টুকরা করে স্কুলের মাঠে পুঁতে ফেলা হয়। দেহ থেকে মিন্টুর মাথা বিচ্ছিন্ন করে উত্তরায় একটি ডোবায় ফেলা দেওয়া হয়।
জানা যায়, মিন্টু চন্দ্র বর্মণ সাত বছর ধরে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় বসবাস করতেন। তিনি সেখানকার আমিন মডেল টাউন স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষকতা করতেন। দুই বছর আগে (২০১৯ সাল) মিন্টু চন্দ্র বর্মণসহ চারজন মিলে জামগড়া এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে সাভার রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ নামে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়েন। অন্য তিন সহপ্রতিষ্ঠাতা হলেন রবিউল ইসলাম, মোতালেব ও শামসুজ্জামান। মিন্টু চন্দ্র বর্মণ ছিলেন এর অধ্যক্ষ। গত ১৩ জুলাই থেকে তাঁর সন্ধান মিলছিল না।