টিকা দেয়ার কথা বলে গৃহবধূকে ধর্ষণ, পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি  © ফাইল ফটো

প্রবাসীর স্ত্রীকে টিকা দেয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ ও ধর্ষণের পর শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দেবরসহ দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

শনিবার দিবাগত রাত ১০টায় নরসিংদীর রায়পুরায় ​উপজেলার উত্তর বাখরনগর ইউনিয়নের লোচনপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

অগ্নিদগ্ধ নারী জানান, তাদের দাম্পত্য জীবনে ১০ বছর বয়সী একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। তার স্বামী প্রবাসে থাকার কারণে প্রায়ই শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে ও তার সন্তানের ওপর কারণে-অকারণে নির্যাতন করত। বছরখানেক পূর্বে তার দেবর আলী হোসেন তার সন্তানের পায়ে দা দিয়ে কোপ দেয়। নাতনির পায়ে কোপ দেওয়ার ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা থানায় একটি মামলাও দায়ের করেছিলেন।

এরপর থেকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন মামলা তুলে নিতে তার ওপর চাপ প্রয়োগ করে আসছিল। এতে রাজি না হওয়ায় নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ফলে সে স্বামীর বাড়ি ছেড়ে বাবার বাড়ি গিয়ে উঠতে বাধ্য হয়। এরই মধ্যে শনিবার টিকা দেওয়ার নাম করে তাকে বাবার বাড়ি থেকে শ্বশুরবাড়িতে ডেকে নিয়ে আসে।

এরপর শনিবার বিকালে দেবর আলী হোসেন, ননদের ছেলে শাহরিয়ার, ননদ তাসলিমা বেগম ও জ্যা রহিমা বেগমের সাথে শ্বশুরবাড়ি থেকে সিএনজি যোগে টিকা দেওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়। সিনজিতে উঠে কিছুক্ষণ পর পারভিনের চোখমুখ বেঁধে ফেলা হয়। তারপর রাতে দেবর কোন নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে সিএনজি থেকে নামিয়ে তাকে শ্লীলতাহানি করে বলে জানায় পারভিন বেগম।

পরে আবার সিএনজিতে উঠিয়ে এদিক-সেদিক ঘুরতে থাকে। পরে রায়পুরা-বারৈচা সড়কের পাশে লোচনপুর এলাকার একটি বাঁশঝাড়ের পাশে নিয়ে যাওয়া হয় পারভিনকে। সেখানে এক পর্যায়ে তার দেবর তরল জাতীয় কিছু শরীরে ঢেলে দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে তার আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে।

সেখানে অবস্থার অবনতি হলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পারভিনকে শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় দগ্ধ পারভিনের ভাই আকরাম হোসেন বাদী হয়ে রায়পুরা থানায় মামলা দায়ের করেন। অন্যদিকে অভিযুক্ত দেবর আলী হোসেন ও ননদের ছেলে শাহরিয়ারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রায়পুরা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) গোবিন্দ সরকার বলেন, উক্ত ঘটনায় থানায় একটি মামলা রজু হয়। ঘটনায় সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আলী হোসেন ও শাহরিয়ার নামে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্ত শেষে তার প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।


সর্বশেষ সংবাদ