হেলেনা জাহাঙ্গীরের পর এবার দর্জি মনির গ্রেপ্তার

এডিট করা ছবি ব্যবহার করেছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও
এডিট করা ছবি ব্যবহার করেছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও  © সংগৃহীত

‘বাংলাদেশ জননেত্রী শেখ হাসিনা পরিষদ' নামে ভুঁইফোড় সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মনির খান ওরফে দর্জি মনিরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি আওয়ামী লীগের নাম ভাঙিয়ে নিজের স্বার্থসিদ্ধির উদ্দেশে এ সংগঠন গড়ে তুলেছেন। তদবির-বাণিজ্য থেকে শুরু করে নানা অনিয়ম কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত মনির কারসাজি করে প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে নিজের ছবি বসিয়ে দিতেন। সেই ছবি বিভিন্ন জায়গায় উপস্থাপন করতেন। এছাড়া এসব ছবি ব্যবহার করেছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

সোমবার (২ আগস্ট) ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তাকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার।

সূত্র জানিয়েছে, মনিরের বাসা ঢাকার কেরানীগঞ্জে। তিনি একসময় গুলিস্তান এলাকায় দর্জির দোকানে কাজ করতেন। যে কারণে তার নাম দর্জি মনির। ২০০৮ সালে তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয় হন। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সভা-সমাবেশে অংশ নিতেন তিনি। বেশিরভাগ সময় মুজিব কোট পরে চলাফেরা করতেন। আওয়ামী লীগের নাম ভাঙিয়ে ‘বাংলাদেশ জননেত্রী শেখ হাসিনা পরিষদ’ নামে ভুঁইফোড় সংগঠন খুলে প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বনে যান তিনি। এই সংগঠনের ব্যানারে রাজনৈতিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানও করেছেন। এই সংগঠনে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের অর্থের বিনিময়ে পদপদবি দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কেরানীগঞ্জ ও সাভারের অংশবিশেষ নিয়ে গঠিত ঢাকা-২ আসনের এমপি হওয়ার স্বপ্ন দেখছিলেন দর্জি মনির। তদবির-বাণিজ্য ও জমির দালালি করে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন একসময়ের মনির খান।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, এ ধরনের ভুঁইফোড় সংগঠনের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো সম্পর্ক নেই। আমরা আগেই এদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্নিষ্টদের আহ্বান জানিয়েছি।