সুইসাইড নোট লিখে অনার্সে ফেল করা ছাত্রের আত্মহত্যা

লাশ উদ্ধার করে পুুলিশ
লাশ উদ্ধার করে পুুলিশ  © প্রতীকী ছবি

গত ২০ জুলাই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন অনুষ্ঠিত ২০১৯ সালের অনার্স ৪র্থ বর্ষ পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। ফলে অকৃতকার্য হয়ে পরদিন (২১ জুলাই) মশিউর রহমান নামে এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে। 

এদিকে, ঘটনার তিনদিন পর ২৪ জুলাই রাজধানী কুড়িল এলাকার একটি বাসা থেকে ওই শিক্ষার্থীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়। 

ভাটারা থানায় এসআই মোহাম্মদ আলী বলেন, মশিউরের গ্রামের বাড়ি ঠাকুরগাঁও সদরে। গত ২৮ মে তিনি ঢাকায় আসেন। রবি সিম বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তিনি ইংরেজিতে অনার্সে পড়তেন। ঈদের আগের দিন অনার্স ফাইনাল ইয়ারের রেজাল্ট বের হয়। এতে তিনি ফেল করেন।

“পরে গ্রামের বাড়িতে ফোন করে বাড়ি যাবেন না বলে জানিয়ে দেন। তার ভাই গ্রামে যাওয়ার জন্য তাকে এক হাজার টাকাও পাঠাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি টাকা নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে তার ভাইকে বলেন, আমি অনার্সে ফেল করেছি। আমি বাড়িতে আসতে পারব না। বাবাকে বলবেন, আমাকে যেন মাফ করে দেয়।”

ধারণা করা হচ্ছে ওই শিক্ষার্থী ঈদের দিন আত্মহত্যা করেছেন। তিনি তার রুমে একটি সুইসাইড নোটে লিখেছেন, ‘হেরে গেলাম অবশেষে’। এই ঘটনায় ভাটারা থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ