ধর্ষণের ভিডিও ছড়ানোর হুমকিতে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা
পিরোজপুরের কাউখালীতে ধর্ষণের ভিডিও ছড়ানোর হুমকি দেওয়ায় এক স্কুলছাত্রী আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) রাতে মেয়েটির বাবা বাদী কাউখালী থানায় পাঁচজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন; পরে পুলিশ আসামি শাকিল হোসেনকে (২৩) গ্রেপ্তার করে।
এর আগে গত ১৬ জুলাই রাতে নিজ বাড়িতে নবম শ্রেণির এই মেয়ে ফাঁসিতে আত্মহত্যা করেছে বলে জানান কাউখালী থানার ওসি বনী আমিন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, কাউখালী উপজেলার ছোট বিড়ালজুড়ি গ্রামের এই মেয়েকে একই উপজেলার কাঠালিয়া গ্রামের সজীব খান (২৪), মো. সাকিল হোসেন (২৩) ও আকাশ মীরসহ (২৪) ৪-৫ জন প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতেন।
তারা গত ১৬ জুলাই মোবাইল ফোনে এই স্কুলছাত্রীকে ডেকে স্থানীয় একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে দলবেঁধে ধর্ষণ করেন এবং ওই দৃশ্যের ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারণ করে রাখেন আসামিরা।
এরপরও তারা মেয়েটিকে এই সম্পর্ক চালিয়ে যেতে চাপ দেন এবং তা নাহলে ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
অভিযোগে আরও বলা হয়, এর জেরে লোকলজ্জার ভয়ে এই স্কুলছাত্রী ১৬ জুলাই রাতে ঘরের বারান্দায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দেয়। সেকান থেকে উদ্ধার করে তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ১৭ জুলাই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।
কাউখালী থানার ওসি বনী আমিন জানান, স্কুলছাত্রীকে আত্মহত্যার প্ররোচনায় তার বাবা বাদী হয়ে পাঁচজনকে নামীয় ও কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেছেন। মামলার ২ নম্বর আসামি শাকিল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।