প্রেমিক যুগলের আত্মহত্যা

প্রেমিকের মৃতদেহ ঝুলছিল ডালে, প্রেমিকার লাশ গাছের নিচে

দুজনের পরিবারের সদস্যরা প্রেমের সম্পর্কে মেনে নিতে রাজি ছিলেন না
দুজনের পরিবারের সদস্যরা প্রেমের সম্পর্কে মেনে নিতে রাজি ছিলেন না  © প্রতীকী ছবি

আজ বুধবার (২১ জুলাই) সকালে এক প্রেমিক ও তার প্রেমিকার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার কাউলীবেড়া ইউনিয়নের মাইঝাইল গ্রাম থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।

প্রেমিকের নাম অধীর সিকদার (২৩)। তিনি মাইঝাইল গ্রামের মৃত নিতাই সিকদারের ছেলে। এ বছর ভাঙ্গা সরকারি কে এম কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল অধীরের।

প্রেমিকার নাম মুন রানী মজুমদার (১৫)। সে একই গ্রামের বাসিন্দা ইলেকট্রনিকস পণ্যের ব্যবসায়ী মনোজ মজুমদারের মেয়ে। স্থানীয় ব্রাহ্মনদী উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল মুন।

জানা গেছে, অধীর সিকদার ও মুন রানী মজুমদারের মধ্যে এক বছরের বেশি সময় ধরে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তবে দুজনের পরিবারের সদস্যরা এই সম্পর্কে মেনে নিতে রাজি ছিলেন না। আবার দুজনেই শিক্ষার্থী। মেয়েটি প্রাপ্তবয়স্ক ছিল না। সব মিলিয়ে ওই দুজনের সম্পর্ক বিয়ের দিকে গড়াতে পারেনি। এ অবস্থায় গতকাল মঙ্গলবার রাতে অধীর ও মুন দুজনেই বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়।

অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাঁদের সন্ধান পাননি পরিবারের সদস্যরা। আজ সকালে গ্রামের মজুমদারপাড়ার একটি জামগাছে অধীরের মৃতদেহ গলায় শাড়ি প্যাঁচানো অবস্থায় ঝুলতে দেখা যায়। ওই গাছেরই নিচে পড়ে ছিল মুন রানী মজুমদারের মৃতদেহ। পারিপার্শ্বিক অবস্থা দেখে এলাকাবাসী ও পুলিশের ধারণা, অধীর গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। আর মুন বিষপান করে আত্মহনন করেছে।

ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ লুৎফর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে দুজনের লাশ উদ্ধার করেছে। লাশ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে বিষয়টিকে আত্মহত্যা বলে মনে হয়েছে পুলিশের। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলার প্রস্তুতি চলছে।


সর্বশেষ সংবাদ