১৭ জুলাই ২০২১, ১৭:২৮

নজরদারিতে একাধিক টিকটক ও ফেসবুক গ্রুপ-পেজ

নারী পাচারের পুরো চক্র শনাক্ত করতে কাজ করছে গোয়েন্দা পুলিশ  © ফাইল ছবি

ভারতে নারী নির্যাতন ও নারী পাচারের পুরো সিন্ডিকেটটি শনাক্ত করতে কাজ করছে গোয়েন্দা পুলিশ। ইতোমধ্যে এদের বড় একটি অংশকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সিন্ডিকেটের অন্যান্য হোতাদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের আওতায় আনতে কাজ চলছে।

আজ শনিবার (১৭ জুলাই) ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. শহীদুল্লাহ একটি জাতীয় দৈনিককে এসব কথা বলেছেন।

সম্প্রতি ভারতে তরুণী নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর দেশে ও ভারতে গ্রেফতার হয়েছেন চক্রের ৩২ জন। এদের মধ্যে বাংলাদেশে গ্রেফতার হওয়া ২০ জনের মধ্যে ১৩ জনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে উঠে এসেছে নারী পাচারের কৌশল ও নেপথ্য কাহিনি।

গ্রেফতারকৃতদের দেওয়া তথ্য ও পুলিশের অনুসন্ধান থেকে জানা যায়, মোট ছয় ধাপে ভারতে নারী পাচার করত আন্তর্জাতিক চক্রটি। প্রথম ধাপে দেশে নারীদের টার্গেট করে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে সীমান্তে নিয়ে ভারতীয় দালালদের হাতে হস্তান্তর করা হয়। সীমান্ত পার হওয়ার ক্ষেত্রে যোগাযোগে ব্যবহার হয় ভারতীয় সিমকার্ড।

দ্বিতীয় ধাপে সেখান থেকে তাদের নেওয়া হয় ভারতীয় পাচারকারী চক্রের ‘সেফ হোম’-এ। পরের ধাপে তৈরি হয় পাচারকৃত নারীর পরিচয়পত্র (আধার কার্ড)। এরপর ধাপে ধাপে সেখান থেকে বিমানে বেঙ্গালুরু ও চেন্নাই পাঠিয়ে দেওয়া হয় সেখানকার সেফ হোমে।

সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী দাবকপাড়া কালিয়ানী এলাকা থেকে গ্রেফতার হওয়া চক্রের সদস্য মেহেদী হাসান বাবু (৩৫) একাই এক হাজারের বেশি নারী পাচার করেছে। সে ৭-৮ বছর পাচার কাজে জড়িত ছিল। একই এলাকা থেকে গ্রেফতার অপর দুই পাচারকারী মহিউদ্দিন ও আব্দুল কাদের পাঁচ শতাধিক নারীকে ভারতীয় দালালদের হাতে তুলে দিয়েছে বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে।

তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. শহীদুল্লাহ বলেন, নির্যাতনের শিকার তরুণী ও এ ঘটনায় জড়িতদের দেশে ফিরিয়ে আনতে পুলিশ সদর দপ্তরের এনসিবি শাখার মাধ্যমে ভারতীয় পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। পাশাপাশি কয়েকটি টিকটক গ্রুপ, পেজ ও অ্যাডমিনদের ওপরেও চলছে নজরদারি।