আঁচল ফাউন্ডেশনের জরিপ

করোনাকালে ২১ ভাগ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার চিন্তা

মানসিক বিভিন্ন চাপের ফলে আত্নহত্যা করার কথা ভেবেছে
মানসিক বিভিন্ন চাপের ফলে আত্নহত্যা করার কথা ভেবেছে  © প্রতীকী ছবি

করোনাকালে মানসিক বিভিন্ন চাপের ফলে আত্নহত্যা করার কথা ভেবেছে ২১ দশমিক ৩ শতাংশ শিক্ষার্থী। এ সময়ে মানসিক চাপ পড়েছে ৬৩.৫ শতাংশ শিক্ষার্থীর। তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করে এমন সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান আঁচল ফাউন্ডেশনের ‘করোনাকালে তরুণদের আত্মহত্যা প্রবণতা বৃদ্ধি’ শীর্ষক এক জরিপে এমনটি উঠে এসেছে।

আজ শনিবার (১০ জুলাই) দুপুর ১১টার দিকে অনলাইনে আয়োজিত এক ওয়েবনিয়ারে তরুণদের আত্মহত্যা বৃদ্ধির কারণ ও প্রতিকার তুলে ধরা হয়। গত জুন এর ১-১৫ তারিখ  পর্যন্ত ‘আত্মহত্যা ও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে তরুণদের ভাবনা’ শীর্ষক পরিচালিত এই জরিপে মোট ২২ হাজার ২৬ জন স্কুল-কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

ওয়েবনিয়ারে জরিপের ফল তুলে ধরেন আঁচল ফাউন্ডেশনের রিসার্স এন্ড এনাইলাইস টিমের হেড সাজিয়া ইফফাত।

তথ্য মতে, করোনাকালে তরুণদের মধ্যে অধিকাংশই মানসিক বিষণ্ণতায় ভোগেন। যেমন, অধিকাংশ সময় মন খারাপ থাকা, পছন্দের কাজ থেকে আগ্রহ হারিয়ে ফেলা। অস্বাভাবিক কম বা বেশি ঘুম হওয়া, কাজে মনোযোগ হারিয়ে ফেলা, নিজেকে নিয়ে নেতিবাচক চিন্তা করা, সবকিছুতে সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগা। এ সমস্যাগুলো তীব্র আকার ধারণ করলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তারা।

মানসিক বিভিন্ন চাপের ফলে অনেকের মাঝেই আত্মহত্যা করার চিন্তা বা প্রবণতা দেখা দিয়েছে। জরিপের মাধ্যমে দেখা যায়, ৪৯.৯ শতাংশ তরুণ তরুণীরা আত্মহত্যার কথা চিন্তা করেনি কিন্ত বাকি ৫০.১ শতাংশই আত্মহত্যা করার কথা চিন্তা করেছেন।

এদের মধ্যে করোনাকালীন সময়েই আত্মহত্যা করার কথা ভেবেছেন ২১.৩ শতাংশ। ৩৮.১ শতাংশ মানুষ আত্মহত্যার কথা চিন্তা করেছেন, তবে আত্মহত্যার চেষ্টা করেনি। কিন্তু ৮.৩ শতাংশ এর মাথায় আত্মহত্যার কথা এসেছে, তারা আত্মহত্যার উপকরণ প্রস্তুত করেছেন কিন্ত শেষে পিছিয়ে এসেছেন এবং ৩.৭ শতাংশ তরুণ তরুণী আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন তবে তারা বিফল হয়েছেন। 

জরিপের বিষয়ে আঁচল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি তানসেন রোজ বলেন তরুণরাই আগামীর দেশ গড়ার কারিগর। তরুণরা যখন আত্মহত্যাপ্রবণ কিংবা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হচ্ছে তা নিশ্চিতভাবেই দেশের জন্য অশনী সংকেত। যারা মানসিকভাবে হতাশাগ্রস্ত শুধুমাত্র তাদেরকে কউন্সেলিং দেয়ার মাঝে সীমাবদ্ধ থাকলে সমস্যার পুরোপুরি সমাধান হবে না। বরং একজন তরুণ বা তরুণী কেনো আত্মহত্যাপ্রবণ বা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হচ্ছে তার কারণ বের করে সমাধান করে সমস্যার মূলোৎপাটন করতে হবে।


সর্বশেষ সংবাদ