স্কুলের প্রধান শিক্ষককে হুমকি, গ্রেফতার ১
চট্টগ্রামে এক প্রধান শিক্ষককে হুমকি দেয়ার অভিযোগে মিয়া মো. হারুন খান (৫০) নামে যুবদলের এক নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার (৩ জুলাই) দিবাগত রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার হারুন ডবলমুরিং থানার মনছুরাবাদ মিয়া বাড়ির বাসিন্দা। তিনি মৃত সেকান্দর মিয়ার ছেলে এবং মহানগর যুবদলের সহ-সভাপতি।
পুলিশ জানায়, গত ২৫ জুন বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য মনছুরাবাদ খান সাহেব আব্দুল হাকিম উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত লে. কর্নেল ইকবাল শফি ও প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিনের কাছে মৌখিকভাবে আবেদন করেন হারুন খান। কিন্তু করোনা সংক্রমণের সময় স্কুলে বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুমতি দেননি তারা। তারপরও হারুন বিয়ের আয়োজন করলে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসে অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেন।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৩০ জুন মো. হারুন খান ও তার সহযোগীরা স্কুলে এসে প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য শিক্ষকদের দাফতরিক কার্যক্রমে বাঁধা এবং হুমকি দেন। এরপর প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন বাদী হয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ডবলমুরিং থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামি হারুনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ৩০ জুন পাঁচলাইশ-ডবলমুরিং থানা শিক্ষা অফিসার মো. শফিউল আলমের নেতৃত্বে একটি তদন্ত দল আসে স্কুলে। এ সময় প্রধান শিক্ষকসহ আরও কয়েকজন শিক্ষকও আসেন। তাদের আসতে দেখেই জোরপূর্বক স্কুলে ঢুকেন একরাম মিয়ার ভাই চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সহ-সভাপতি মিয়া মো. হারুন খান ও তার আরেক ভাই জানে আলম, মো, মাসুদ, মো. প্রিন্স এবং মো. আল নাহিয়ান। প্রধান শিক্ষকের রুমে ঢুকেই তারা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এক পর্যায়ে টেবিলে থাপ্পড় মেরে ‘তাকে তুলে নেওয়ার’ হুমকি দেন তারা। এ সময় তাকে স্কুলের সভাপতি কর্নেল ‘বাঁচাতে পারবে না’ উল্লেখ করে হত্যারও হুমকি দেওয়া হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ বলেন, গ্রেফতার মিয়া মো. হারুন খানকে সংশ্লিষ্ট মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে রোববার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়াও ঘটনায় জড়িত অন্যান্য পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে।