সীমান্ত দিয়ে কিশোর গ্যাংয়ের হাতে আসছে অস্ত্র
দেশের সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করে বিভিন্ন হাত ঘুরে কিশোর গ্যাংয়ের কাছে অস্ত্র যাচ্ছে বলে জানিয়েছে র্যাব। তারা বলছে, এসব অস্ত্র দিয়ে অপরাধের চেয়ে সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি প্রদর্শন বেশি করা হয়। আবার অনেক সময় এসব অস্ত্র ব্যবহার করে অপরাধও করছে।
সোমবার বিকালে রাজধানীর কারওয়ান র্যাব মিডিয়া সেন্টারে এসব তথ্য জানান র্যাব-৪ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মোজাম্মেল হক।
গত ২৪ মে ঢাকার আশুলিয়ার নাল্লাপাড়া এলাকায় মসজিদের খাদেম নজরুল ইসলামকে কুপিয়ে জখম করে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। এ ঘটনায় রোববার (২৭ জুন) রাতে র্যাব-৪ রাকিব হোসেন (২২) ও তার সহযোগী ইমন হোসেনকে (২০) গ্রেফতার করে। তাদের কাছ থেকে দুটি পিস্তল, চার রাউন্ড গুলি, একটি ম্যাগাজিন, চাইনিজ কুড়াল, দুইটি ফোল্ডিং চাকু, চাপাতি ও ৩০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। তারা এবং বিভিন্ন সময় র্যাবের হাতে আটক হওয়া কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, সীমান্ত দিয়েই এসব অস্ত্র তাদের হাতে আসছে। সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানান র্যাব-৪ এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মোজাম্মেল হক।
র্যাবের এই কর্মকর্তা আরও জানান, গ্রেপ্তার রাকিব ও ইমনের নেতৃত্বে ১০/১২ জনের কিশোর গ্যাং গ্রুপ সাভার ও আশুলিয়া এলাকায় ইভটিজিং, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, খুনসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। প্রধান অভিযুক্ত আলিমকে গ্রেপ্তারে র্যাব অভিযান চালাচ্ছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হক বলেন, কিশোর বয়স থেকেই তারা দুষ্টু ও দুরন্ত। কিশোর গ্যাং বলে দেশে কোনো আইন নেই। কিশোররা জড়িত থাকে বলে আমরা 'কিশোর গ্যাং' বলি। তাদের অনেক সঙ্গী সাথী আছে। তারা কোনো না কোনোভাবে মাদকাসক্ত। কিশোরদের মধ্যে ফিল বেশি কাজ করে, এতে তাদেরকে সহজে মোটিভেট করা যায়। তাই তাদের মাধ্যমে জমি দখল, মাদক ব্যবসা, কাউকে মারধর বা ভাড়াটিয়া মধ্যস্থতাকারী দালাল হিসেবে ব্যবহার করে। এসব কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে আমরা কাজ করছি।