কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আহত মাদ্রাসাছাত্রের মৃত্যু

মাদ্রাসাছাত্র মেহরাজ
মাদ্রাসাছাত্র মেহরাজ  © সংগৃহীত

ফেনী শহরের বিরিঞ্চিতে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গুরুতর আহত মাদ্রাসাছাত্র মেহরাজ (১৮) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় ১৮ মে রাতে মেহরাজকে নির্মমভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা।

আজ রবিবার (২০ জুন) বাদজোহর জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। ১৮ মে হামলার শিকার হয়ে একমাস চিকিৎসাধীন থেকে শনিবার (১৯ জুন) মেহরাজ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।

জানা যায়, বিরিঞ্চি হাঙ্গার এলাকার ফকির বাড়ির প্রয়াত আবদুল্লাহর ছেলে মেহরাজ বিরিঞ্চি নূরিয়া সুফিয়া মাদ্রাসার ছাত্র। করোনাকালে মাদরাসা বন্ধ থাকায় ভাইয়ের সঙ্গে মাইক্রোবাসে সহকারী হিসেবে কাজ করছিল।

ঘটনার দিন তার বন্ধু নোমানের বোনকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে সে কিশোর গ্যাংয়ের রোষানলে পড়ে। রাত সাড়ে ৮টার দিকে নোমান ও তাকে বিরিঞ্চি রশিদ ম্যানশনের সামনে ডেকে নিয়ে নির্মমভাবে মারধর করে। এক পর্যায়ে ইট দিয়ে তার মাথা থেতলে দেয়া হয়। 

স্থানীয়রা উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে চিকিৎসক মেহরাজকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে একমাস চিকিৎসাধীন থাকার পর গতকাল শনিবার দুপুরে সে মারা যায়। তার মৃত্যুর খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

ফেনী মডেল থানা ও নিহতের পরিবার সূত্র জানায়, ঘটনার পরদিনই তার মা হোসনে আরা বেগম (৬০) বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় তিনি ওই এলাকার ১০ কিশোরের নাম উল্লেখ করেন।

মামলার আসামিরা হলেন, গিয়াস উদ্দিনের ছেলে সাকিল, ধনা মিয়ার ছেলে হাসান, শাহ আলমের ছেলে রাকিবুল হাসান প্রকাশ অনুল, হারুনের ছেলে আরিফুল ইসলাম ও স্বপনের ছেলে হাসান। এছাড়া পিয়াস, আকাশ, পলাশ, হৃদয় ও মুর্শিদের নাম উল্লেখ করা হয়। অজ্ঞাত আসামি করা হয় আরও ৪/৫ জনকে। মামলার এজাহারে তিনি তার ছেলেকে নির্মম নির্যাতনের সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরেন।

ফেনী মডেল থানা পুলিশের ওসি মো. নিজাম উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় মেহরাজের মা হোসনে আরা বেগম বাদী হয়ে ১৯ মে মামলা দায়ের করেছেন। এজাহারে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ৪/৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করেছেন। একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ