দুই শতাধিক শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির টাকা প্রতারকদের পকেটে
উপবৃত্তির টাকা যাতে খেয়ানত না হয়, সে জন্য মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পরিশোধের ব্যবস্থা নিয়েছে শিক্ষা প্রশাসন। পদ্ধতিটি অপেক্ষাকৃত সহজ। এতে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের শিক্ষা অফিসে গিয়ে ধরনা দিতে হবে না, বাড়িতে বসেই তাঁরা উপবৃত্তির টাকা পেয়ে যাবেন। কিন্তু সেই পদ্ধতিটাই এখন সুবিধার হয়ে দাড়াল প্রতারক চক্রের জন্য। এরমধ্যে নয়টি জেলার প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থীর প্রাথমিকের উপবৃত্তির টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি প্রতারক চক্র। গ্রামের সহজ-সরল অভিভাবকদের কাছে ফোনে যোগাযোগ করে নিজেদের নগদ বা শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে গোপন পিন নম্বর জেনে টাকা তুলে নিয়েছে চক্রটি।
জানা যায়, শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির টাকা টাকা পেতে যাদের মোবাইলে নগদ অ্যাপ ছিল না বা চালু ছিল না শিক্ষকেরা তাদেরকে নগদ চালুর করার নিয়ম শিখিয়ে দেন। এরই সুযোগ নেয় একটি প্রতারক চক্র। তারা অভিভাবকদের ফোনে শিক্ষক পরিচয়ে ফোন করে বলে উপবৃত্তির টাকা নির্দিষ্ট পরিমাণের চেয়ে কম পাঠানা হয়েছে। বাকি টাকা সমন্বয় করা হবে বলে কৌশলে প্রতারক চক্রটি অভিভাবকদের পিন নম্বর জেনে নেয়। আবার কখনো নিজেকে নগদের কর্মকর্তা বলে পরিচয় দিয়ে একাউন্টের তথ্য হাতিয়ে নিয়ে টাকাগুলো ট্রান্সপার করে নেয়।
শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ নিয়ে লিখিত অভিযোগও জানানো হয়েছে নগদ কর্তৃপক্ষকে। গত ২ এপ্রিল নগদের পক্ষ থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে রাজধানীর বনানী থানায় মামলাও করা হয়েছে। প্রশাসন এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেননি। মামলাটি ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগে তদন্তাধীন আছে।
নগদের কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি নিয়ে প্রতারণার বিষয়টি নগদকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। আমরা তদন্ত করেও এর সত্যতা পেয়েছি। ইতিমধ্যে প্রতারক চক্রের বেশকিছু নম্বর শনাক্ত করেছে পুলিশ। আশা করি খুব দ্রুতই এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিবে প্রশাসন।