লাইকি ভিডিও তৈরির করার কথা বলে জাফলংয়ে নিয়ে তরুণীকে ধর্ষণ
সিলেটের জাফলংয়ে গিয়ে লাইকি ভিডিও তৈরির করার কথা বলে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নির্যাতিতার বাবা গত ২৬ মে সিলেটের শাহপরাণ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
আজ সোমবার (১৪ জুন) বেলা আড়াইটায় সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান ধর্ষণের শিকার তরুণীর বাবা। ধর্ষণের শিকার ওই তরুণীর বাড়ি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায়।
সংবাদ সম্মেলনে নির্যাতিতার বাবা বলেন, সম্প্রতি লাইকি অ্যাপসে ভিডিও তৈরির মাধ্যমে সিলেটের শাহপরাণ থানার টিলাগড় এলাকার এক নারীর সঙ্গে আমার মেয়ের পরিচয় হয়। তার মাধ্যমে সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাণীগাজী গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে জুবায়ের আহমদের সঙ্গে ফোনে পরিচয়। জুবায়ের বর্তমানে সিলেট নগরের শিবগঞ্জ লামাপাড়া এলাকার মোহিনী ৮৩/এ বাসায় তার বোনের সঙ্গে থাকে। এরপর তারা সবাই ফোনে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করতো।
জুবায়ের মি. ফান্নী আহমদ নামে লাইকি অ্যাপস ব্যবহার করে বিভিন্ন ভিডিও প্রকাশ করতো। গত ১৭ মে বাসার মালিকের বাড়ি সিলেটের বিশ্বনাথে বেড়াতে যায় আমার মেয়ে। সেখানে অবস্থানকালে ১৯ মে ওই নারী আমার মেয়েকে লাইকি ভিডিও তৈরি করতে জাফলং বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে। বিষয়টি আমার মেয়ে আমাকে অবগত করলে আমি ওই নারীর সঙ্গে কথা বলে তাকে জাফলং যাওয়ার অনুমতি দিই।
তিনি বলেন, ওই নারী আমার মেয়েকে বিশ্বনাথ উপজেলার এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাকে সিলেট নগরের শিবগঞ্জ এলাকায় জুবায়েরের বাসায় নিয়ে আসে। এ সময় আমার মেয়ে জানাতে চাইলে ওই নারী তাকে বলে এখানে কিছুক্ষণ বসতে হবে। সে বাসা থেকে কাপড় পরিবর্তন করে আসলে জাফলংয়ের উদ্দেশে যাত্রা শুরু হবে। তখন জুবায়ের আমার মেয়েকে নাস্তা খেতে দেয়। নাস্তা খাওয়ার পরপরই সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। অসুস্থ অবস্থায় জুবায়ের আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে। পরদিন সকালে আমার মেয়েকে বিশ্বনাথে এক আত্মীয়র বাসায় দিয়ে যায়। এ সময় জুবায়ের এই ঘটনা কাউকে না বলার জন্য হুমকি দিয়ে যায়।
নির্যাতিতার বাবা আরও বলেন, আমার মেয়েকে বাসায় নিয়ে আসার পর সে আবার অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় গত ২৬ মে সিলেটের শাহপরাণ থানায় একটি মামলা দায়ের করি। মামলা দায়েরের এতদিন পরও পুলিশ আসামিদের গ্রেফতার করতে পারেনি। অথচ আসামিরা প্রকাশ্যে চলাফেরা করছে। এছাড়া মামলা তুলে নেওয়ার জন্য আমাকে হুমকি দিচ্ছে।