‘ঋণ থেকে চাপমুক্ত’ থাকতে মাদ্রাসা শিক্ষকের ছিনতাই নাটক
শ্যালক-শ্যালিকা, আত্মীয়স্বজনদের কাছ থেকে বেশ মোটা অঙ্কের টাকা ঋণ করেন জসীম উদ্দিন। কিন্তু কিছুদিন ধরে পাওনাদাররা ঋণের টাকা পরিশোধ করতে চাপ দিয়ে আসছিলেন জসীম উদ্দিনকে। ঋণ পরিশোধ থেকে কিভাবে বিরত থাকা যায় সেই চিন্তা করছিলেন জসীম উদ্দিন। আর সেজন্য ঋণ থেকে চাপমুক্ত থাকতে ছিনতাইয়ের নাটক সাজান জসীম উদ্দিন।
বৃহস্পতিবার (১১ জুন) রাজধানীর মতিঝিলের ঘরোয়া হোটেলের সামনে থেকে তিন লাখ টাকা ছিনতাই হওয়ার অভিযোগ করেছিলেন মাদ্রাসা শিক্ষক জসীম উদ্দিন। পরে বিষয়টি নজরে এলে তদন্তে নামে পুলিশ। কিন্তু ঘটনা তদন্ত করে ছিনতাইয়ের কোনো সত্যতা পায়নি পুলিশ। বরং ঋণ থেকে চাপমুক্ত থাকতেই তিনি ছিনতাইয়ের নাটক সাজিয়েছিলেন বলে জানতে পারে পুলিশ।
আরো পড়ুন দিনদুপুরে মাদ্রাসা শিক্ষকের তিন লাখ টাকা নিয়ে পালাল ছিনতাইকারী
পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার মো. আ. আহাদ জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমে খবর হওয়ার পর পুলিশ ওই ঘটনার তদন্ত শুরু করে। কিন্তু তদন্তে ছিনতাইয়ের কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। পুরো ঘটনা সাজানো। শ্যালক-শ্যালিকা, আত্মীয়স্বজনেরা তাঁর কাছে মোটা অঙ্কের টাকা পান। কিছুদিন ধরে তাঁরা টাকা পরিশোধের চাপ দিচ্ছিলেন। চাপমুক্ত থাকতেই তিনি ছিনতাইয়ের নাটক সাজিয়েছিলেন। স্বজনদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতেই তিনি হাসপাতালেও চিকিৎসা নিতে গিয়েছিলেন। জসীমের সব বক্তব্যই রেকর্ড করা আছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেনি স্বীকার করে জসীম উদ্দিন জানান, তিনি গ্যাস্ট্রিকে ভুগছেন। অসুস্থতার মধ্যে কী বলতে কী বলে ফেলেছেন, তা তার মনে নেই।