০৪ জুন ২০২১, ০০:৪১

বাংলাদেশ যুব ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর

যুব ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভাংচুর  © ফাইল ছবি

বাংলাদেশ যুব ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার বিকেলে রাজধানীর পল্টনের মুক্তি ভবনে যুব ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে বলে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক খান আসাদুজ্জামান মাসুম জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, 'আমাদের অফিসে যারা ভাঙচুর করেছে তাদের বিষয়ে পার্টির (কমিউনিস্ট পার্টি) নেতৃবৃন্দকে জানানো হয়েছে। তারা তদন্ত করবেন। বৃহস্পতিবার সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে পরবর্তী পদেক্ষেপের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।'

ঘটনার বিবরণ দিয়ে তিনি বলেন, 'ওই সময় আমাদের নেতৃবৃন্দ কেউ উপস্থিত ছিলেন না। আমাদের ফ্লোরে ছাত্র ইউনিয়নের অফিস আছে। হঠাৎ করে কিছু মানুষ আমাদের অফিসে সভা করতে গেলে যারা ছিল তারা মানা করেন। নিষেধ করার পরও তা না শুনে তারা যুব ইউনিয়ন কার্যালয়ে হামলা চালায়।'

যারা হামলা করেছে তারা কারা জিজ্ঞেস করলে মাসুম বলেন, 'আমরা কারও নাম নিতে চাই না। পার্টিকে বলেছি। তারা তদন্ত করে দেখবে।'

যুব ইউনিয়নের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, “বিকেলে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের সাথে নিয়ে ছাত্র নামধারী চিহ্নিত গোষ্ঠী হামলা ও ভাঙচুর করেছে। সন্ত্রাসীরা সংগঠনের ব্যানার, পতাকা ছিঁড়ে ফেলে, বিপ্লবী প্রীতিলতা ছবি নিচে ফেলে পদদলিত করে।”

যুব ইউনিয়নের সভাপতি হাফিজ আদনানী রিয়াদ ও সাধারণ সম্পাদক খান আসাদুজ্জামান মাসুম ওই যৌথ বিবৃতিতে এ হামলা ও ভাঙচুরের ‘তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ’ জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম বলেন, “যুব ইউনিয়নের অফিসে ভাঙচুরের বিষয়ে আমরা আজকে বসব। যুব ইউনিয়ন লিখিতভাবে তাদের বক্তব্য দেবে।”

যুব ইউনিয়নের বিবৃতিতে বলা হয়, “নেতৃত্বকে না জানিয়ে হামলাকারীরা জোরপূর্বক কার্যালয়ে সভা করার নামে সেখানে অবস্থান গ্রহণ করে। কিছুক্ষণ পরেই তারা চেয়ার-টেবিল ছুঁড়ে ফেলে, ব্যানার ছেঁড়া শুরু করে। হামলাকারীদের ভিন্ন কোনো প্রসঙ্গে ক্ষোভ-বিক্ষোভ যাই থাকুক না কেন, যুব ইউনিয়ন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর কোনোমতেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। এ ঘটনায় জড়িতদের সে সময়কার বক্তব্যে প্রতীয়মান হয় যে পুরো বিষয়টি উদ্দেশ্যমূলক ও পূর্বপরিকল্পিত ছিল। বাংলাদেশ যুব ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ ন্যক্কারজনক হামলার ঘটনায় বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন আইনগত পদক্ষেপ ও রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করবে।

হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করেছে যুব ইউনিয়ন।