৩০ মে ২০২১, ১৪:২৫

এলএসডি উদ্ধার: ৫ দিনের রিমান্ডে নর্থ সাউথ ও ইন্ডিপেন্ডেন্টের তিন শিক্ষার্থী

  © ফাইল ছবি

রাজধানীর একটি বাসা থেকে এলএসডি (লাইসার্জিক অ্যাসিড ডাইথ্যালামাইড) নামে মাদকদ্রব্য উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেফতার তিন শিক্ষার্থীর পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

আজ রবিবার (৩০ মে) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বাকী বিল্লাহর ভার্চুয়াল আদালত এ আদেশ দেন। আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন (জিআর) শাখা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

আসামিরা হলো– নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রুপল ও তূর্য এবং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির ছাত্র আদিব।

এলএসডি বেচাকেনায় জড়িত অভিযোগে গত বুধবার রাতে রাজধানীর ধানমন্ডি ও লালমাটিয়া থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। তাঁদের হেফাজত থেকে ২০০ ব্লট এলএসডি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তিনজনের বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে ডিবি।

আদালত সূত্র বলছে, এলএসডি উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেপ্তার তিনজনকে সাত দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। ভার্চ্যুয়াল শুনানি নিয়ে আদালত প্রত্যেকের পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন আদালত।

ডিবি বলছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের ছাত্র হাফিজুর রহমানের মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে তারা এলএসডি মাদকের সন্ধান পায়।

ডিবি জানায়, নেদারল্যান্ডস থেকে এলএসডি মাদক আমদানি করা হয়। অনলাইনে আর্থিক লেনদেনের আন্তর্জাতিক মাধ্যম পেপ্যালের মাধ্যমে টাকার লেনদেন হয়। তিনজনের কাছ থেকে যে এলএসডি জব্দ করা হয়েছে, তার প্রতিটি তাঁরা তিন হাজার টাকা মূল্যে বিক্রি করছিলেন।
ডিবি সূত্র জানায়, ১৫ মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হাফিজুরকে কার্জন হল এলাকায় তাঁর তিন বন্ধু এলএসডি সেবন করান। এর প্রতিক্রিয়া শুরু হলে তিনি সেখান থেকে বেরিয়ে যান। এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে এক ডাব বিক্রেতার ভ্যানে রাখা দা নিয়ে তিনি নিজের গলায় আঘাত করেন। তিনি পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এরপর আট দিন ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে তাঁর লাশ অজ্ঞাতনামা হিসেবে পড়ে ছিল। পরে তাঁর ভাই লাশ শনাক্ত করেন।

হাফিজুরের আত্মহত্যার বিষয়ে ডিবির রমনা বিভাগ ছায়া তদন্ত শুরু করে। তদন্তকালে ডিবি হাফিজুরের কয়েকজন বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ও গোয়েন্দা তথ্যে এলএসডির তথ্য জানতে পারে। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।