ফ্রি ফায়ার পাবজি গেম নিষিদ্ধ হচ্ছে বাংলাদেশে
বাংলাদেশে নিষিদ্ধ হচ্ছে আলোচিত ফ্রি ফায়ার ও পাবজি গেম। এরইমধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বিষয়টি নিয়ে সুপারিশ করা হয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে এ নিয়ে আলোচনাও হয়। এতে গেম দুটি নিয়ে উদ্বেগ জানানো হয়।
জানা গেছে, বিরুপ প্রতিক্রিয়া এড়াতে হঠাৎ বন্ধ না করে বিকল্প পদ্ধতিতে ধীরে ধীরে গেম দুটি বন্ধ করা হবে। যারা এ গেমে আসক্ত তারা ভিপিএনসহ বিকল্প উপায়ে খেলতে পারবেন গেম দুটি। সেগুলোও বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। গেম দুটি খেলার ফলে বিপুল পরিমাণ অর্থ দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে বলেও জানা গেছে।
ফ্রি ফায়ার গেমটি ২০১৯ সালে বিশ্বব্যাপী সর্বাধিক ডাউনলোড করা মোবাইল গেম। এটি ওই বছর গুগল প্লে স্টোরের সেরা জনপ্রিয় ভোট গেমের জন্য পুরস্কার পায়। অপরদিকে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে বন্দুক দিয়ে মুসলমানদের হত্যা এবং সেই দৃশ্য ফেসবুকে লাইভের বিষয়টি পাবজির সঙ্গে তুলনা করেন অনেকে। নেপালে সম্প্রতি পাবজি নিষিদ্ধ করে দেশটির আদালত। ভারতের গুজরাটেও নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল। এমনকি কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছিল।
অনলাইন গেম পাবজি নেতিবাচক প্রভাব ফেলার পাশাপাশি শিক্ষার্থী- কিশোর-কিশোরীদের সহিংস করে তুলছে বলে আশঙ্কা রয়েছে বিভিন্ন মহলের। বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, তরুণ প্রজন্মের মাঝে বেশ জনপ্রিয় ফ্রি ফায়ার ও পাবজি। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠান ব্লু হোয়েল গেমটি ২০১৭ সালে চালুর পর দ্রুত বাংলাদেশে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। চায়না প্রতিষ্ঠানের ২০১৯ সালে তৈরি করা ফ্রি ফায়ারও একইভাবে তরুণ প্রজন্মের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
বাজেটে বরাদ্দ বাড়ছে শিক্ষায়, অর্থ থাকছে এমপিওর জন্যও
তিনি বলেন, গেম দুটির অপব্যবহারের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় তরুণ প্রজন্ম ‘কিশোর গ্যাং’ গঠন করছে। চরমভাবে বিপথগামী হয়ে উঠেছে তারা। করোনা মহামারিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অনলাইন ক্লাস করতে অভিভাবকরা সন্তানদের হাতে ল্যাপটপ, স্মার্টফোন তুলে দিতে বাধ্য হচ্ছে। এ সুযোগে অপব্যবহার ঘটছে। এ জন্য গেম দুটি নিয়ন্ত্রণে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।