ঝোপের মধ্যে ছাত্রীর ক্ষতবিক্ষত লাশ, সৎ মা আটক

হাতিয়ায় এক স্কুলছাত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে
হাতিয়ায় এক স্কুলছাত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে  © প্রতীকী ছবি

নোয়াখালীর হাতিয়ায় এক স্কুলছাত্রীর ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শাবনুর বেগম (১২) নামের ওই ছাত্রীর লাশ মঙ্গলবার (২৫ মে) দুপুরে উপজেলার স্থানীয় আদর্শ গ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনে ঝোপের মধ্য থেকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় শাবনুরের সৎমা খালেদা আক্তারকে (২৯) পুলিশ আটক করেছে।

দক্ষিণ আদর্শ গ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী শাবনুর। সৎমা খালেদা আক্তার তাকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। তার বসতঘর থেকে হত্যায় ব্যবহৃত দা’সহ কিছু আলামত জব্দ করেছে পুলিশ।

শাবনুরের বাবা আবুল কাশেম বলেন, সন্তান প্রসবের সময় ১২ বছর আগে প্রথম স্ত্রী মারা যান। ওই পক্ষে তিন মেয়ে, এক ছেলে। পরে দ্বিতীয় স্ত্রী খালেদা আক্তারকে বিয়ে করেন। সোমবার দুপুর পর্যন্ত মেয়ে শাবনুর দোকানে সহযোগিতা করে তাকে। পরে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। দুপুরে বাড়িতে গিয়ে মেয়েকে দেখতে না পেয়ে তিনি স্ত্রীর কাছে জানতে চান। তখন কোনো জবাব দেননি।

রাতেও মেয়ের খোঁজ পাননি। পরে মঙ্গলবার দুপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনের ঝোপের মধ্যে মেয়ের লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা তাঁকে খবর দেন। তখন তিনি পুলিশকে খবর দেন।

আবুল কাশেমের অভিযোগ, বসতঘরের কক্ষে রক্তের দাগ দেখতে পেয়েছেন। তাঁর একটি লুঙ্গি ও শাবনুরের নতুন ওড়না ঘরে ভেজা অবস্থায় পাওয়া যায়। খালেদা আক্তারই শাবনুরকে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।

গীতার আসর থেকে ফেরার পথে প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণ

এ বিষয়ে মোরশেদ বাজার তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, সৎ মা শাবনুরকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার মুখ, মাথা, ঘাড় ও কানে কোপানোর দাগ আছে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দা ও শাবনুরের ওড়না উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। খালেদা আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।


সর্বশেষ সংবাদ