ত্রিভুজ প্রেমে বলি হলেন বিসিএস পরীক্ষার্থী ইমন
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৫ মে ২০২১, ০৭:৪২ PM , আপডেট: ২৫ মে ২০২১, ০৭:৪২ PM
মাদারীপুরের শিবচরে বিসিএস পরীক্ষার্থী ইসমাইল হোসেন ইমনকে ত্রিভুজ প্রেমের কারণে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনায় কথিত প্রেমিকা লাবনী আক্তারসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়াও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি ও নিহত ইমনের হাতঘড়ি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৫ মে) দুপুর ১টার দিকে মাদারীপুরের পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানিয়েছেন। পরে গ্রেপ্তারদের মাদারীপুর আদালতে পাঠানো হয়।
পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল জানান, গত ১৫ মে শিবচর উপজেলার সন্যাসীরচর ইউনিয়নের খাসচর বাচামারা গ্রামের আড়িয়াল খাঁ নদীর উত্তর পাশে সেকান্দার কাজীর ছেলে ইসলামই হোসেন ইমনের মৃতদেহ পাওয়া যায়। পরে পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে। এই ঘটনায় পরের দিন ইমনের বড় ভাই কাজী রেজাউল বাদী হয়ে একজনকে আসামিকে করে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটি জেলা গোয়েন্দা শাখা তদন্ত করে। তদন্তের ১০ দিনের মাথায় হত্যাকারী ও তার সহযোগিদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ এসময় ইমনের কথিত প্রেমিকা লাবনী আক্তার ও তার প্রেমিক মেহেদী ফরাজীকে গ্রেপ্তার করে। তারা প্রাথমিকভাবে ইমনকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
পুলিশ সুপার আরো জানান, ‘হত্যাকাণ্ডটি ত্রিভুজ প্রেমের কারণে হয়েছে। এক বছর আগে ইমনের সঙ্গে লাবনীর প্রেমের সর্ম্পক তৈরি হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে শারীরিক সর্ম্পক গড়ে উঠে। তারই কিছু ছবি ইমন তুলে রাখেন। তবে ছয় মাস যেতে না যেতেই লাবনীর সঙ্গে ইমনের সর্ম্পকে ভাটা পরে। এরপর থেকে লাবনী ইমনের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। পরে তিনি মেহেদী ফরাজী নামে আরেক ছেলের সঙ্গে প্রেমের সর্ম্পকে জড়িয়ে পড়েন। বিষয়টি ইমন জানতে পেরে লাবনীকে আগের অন্তরঙ্গ ছবি দিয়ে ভয় দেখান। পরে লাবনী ও তার বর্তমান প্রেমিক মেহেদী কৌশলে ইমনকে একটি স্থানে ডেকে আনেন। এসময় নেশাজাতীয় দ্রব্য মেশানো কোমল পানীয় খাইয়ে ইমনকে অজ্ঞান করে আড়িয়াল খাঁ নদের পাশে নিয়ে গলাকেটে হত্যার পর লাশ নদীতে ফেলে যান।’
নিহত ইমনের বড় ভাই কাজী রেজাউল বলেন, ‘আমার ভাইকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে লাবনী। আমরা তার কঠিন বিচার চাই। আমার ভাইকে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে, এখন আমরা চাই লাবনী ও তার প্রেমিককে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হোক। এতে আমার ভাইয়ের আত্মা শান্তি পাবে। আমার ভাই এবারের বিসিএস পরীক্ষার্থী ছিল। আমাদের স্বপ্ন আর পূরণ করা হলো না তার।’