‘ফ্রি ফায়ার’ খেলতে না দেয়ার চিরকুট লিখে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা
স্মার্টফোনে ‘ফ্রি ফায়ার গেম’ খেলাতে না দেওয়ায় চিরকুট লিখে এক ছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। সোমবার (২৪ মে) রাতে বগুড়ার শাজাহানপুরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত উম্মে হাবিবা বর্ষা (১২) বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ছিল। তিনি বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার রামকৃঞ্চপুর গ্রামের সার্জেন্ট রওশন হাবিবের মেয়ে।
বর্ষা চিরকুটে লেখেন, ‘বাবা-মা আমাকে ফ্রি ফায়ার গেম খেলতে দিত না। বকাঝকা করতো। তাই আমি চলে গেলাম। আমাকে আর বকাঝকা করতে হবে না’।
তার বাবা ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে চাকরির সুবাদে ঢাকাতেই থাকেন। শাজাহানপুর উপজেলার বি-ব্লক রহিমাবাদ গ্রামে ভাড়া বাসায় মা তার দুই মেয়েকে নিয়ে বসবাস করেন।
আজ মঙ্গলবার (২৫ মে) বেলা ১২টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ফয়সাল মাহমুদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
নিহতের স্বজনরা জানান, সোমবার রাতে ‘ফ্রি ফায়ার গেম’ খেলার জন্য বর্ষা তার মায়ের কাছে ফোন চায়। কিন্তু মা মোবাইল না দেয়ায় নিজের শোয়ার ঘরে গিয়ে শুয়ে পড়ে। আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে তার অনেক ডাকাডাকির পরও দরজা না খোলায় আশপাশের লোকজন এসে প্রথমে জানালা ভেঙে বর্ষাকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলে থাকতে দেখেন। পরে জানালা দিয়ে দরজার ছিটকি খুলে মরদেহ নামানো হয়।
শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, মেয়েটি আত্মহত্যার আগে চিরকুট লিখে গেছে। প্রয়োজনীয় আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে।