বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা, রহস্য উদঘাটনের চেষ্টায় পুলিশ
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে মালিহা ফরিদী সারা (২০) নামে এক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার (০৯ মে) দুপুরে সারার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মেডিকেলের মর্গে প্রেরণ করে কোতয়ালি থানা পুলিশ।
সারা বাকেরগঞ্জ উপজেলার রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের রুনসী গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা এ কে এম ফরিদ উদ্দিনের মেয়ে। তিনি বরিশাল নগরীর কলেজ এভিনিউ এলাকার তিন নম্বর লেনের একটি ভবনের (হোল্ডিং নম্বর ৪০৮) দ্বিতীয় তলার একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থেকে ইউনিভার্সিটি অব গ্লোবাল ভিলেজে লেখাপড়া করতেন। সারা ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী সারা মাস দুয়েক আগে তানভীর রাফি (২৭) নামে এক চাকরিজীবীকে স্বামী পরিচয় দিয়ে ওই বাসা ভাড়া নেন। শনিবার রাত ১১টায় অসুস্থ হয়ে পড়লে স্বজন দাবি করে মধ্যবয়স্ক এক দম্পতি তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক সারাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তারা জানান, সারাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া পুরুষ ও মহিলা তানভীর রাফির বাবা-মা। তাদের ছেলের সঙ্গেই সারার সম্পর্ক ছিল। পাশাপাশি মৃত তরুণীর গলায় একটি দাগ থাকায় এই মৃত্যুকে রহস্যজনক বলছেন স্থানীয়রা।
কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুল ইসলাম জানান, শনিবার রাত দেড়টার দিকে মালিহা ফরিদী সারাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে কিছুক্ষণ পর তার মৃত্যু হয়। পরে খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
ওসি নুরুল ইসলাম বলেন, সারার মৃত্যু রহস্যজনক। তবে পুলিশ সারার মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করছে। সারা হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে, না আত্মহত্যা করেছে তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।