লকডাউনের সুযোগে ইয়াবা পাচার

এক মাসে ৪ কোটি টাকার মাদক উদ্ধার, আটক ৪৩

অভিযানে আটককৃতরা
অভিযানে আটককৃতরা  © টিডিসি ফটো

দেশজুড়ে করোনা প্রতিরোধে লকডাউন চলছে। এ সময় পণ্যবাহী ও জরুরি সেবায় যুক্ত পরিবহন ছাড়া অন্য সব গণপরিবহন বন্ধ। চলমান লকডাউনে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে যানবাহনে তল্লাশিতে ধরা পড়ছে ইয়াবা’র চালান। সাথে আটক হচ্ছে পাচারকারীরাও। পুরুষের পাশাপাশি একাধিক নারীও জড়িয়ে পড়েছে ইয়াবা পাচার কাজে। তারা মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অর্থের বিনিময়ে সু-কৌশলে দেশের অন্য প্রান্তে পৌঁছে দিচ্ছে ইয়াবার চালান।

গত এপ্রিল মাসে জুড়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের লোহাগাড়া উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় চেকপোস্ট বসিয়ে ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, প্রাইভেটকার ও নিত্যপণ্যের গাড়িতে অভিয়ান চালিয়ে প্রায় ১ লক্ষ ৩৯ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে পুলিশ। যার আনুমানিক মূল্য ৪ কোটি টাকা বলে জানা গেছে। পাচারের কাজ জড়িত আটক করেছে ৪৩ জনকে। মামলা হয়েছে ২৫টি।

শনিবার (১ মে) রাতে এই তথ্য নিশ্চিত করেন লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকের হোসাইন মাহমুদ।

থানা সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চেকপোস্ট বসিয়ে এসব অভিযান পরিচালনা করেন লোহাগাড়া থানার এসআই গোলাম কিবরিয়া। তবে আটককৃতদের মধ্য বেশীরভাগ পাচারকারী। ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকেই যাচ্ছে ইয়াবার মূল ব্যবসায়ীরা।

ওসি জাকের হোসাইন মাহমুদ বলেন, চলমান লকডাউনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে নিত্য নতুন কৌশলও ব্যবহার করছে মাদক পাচারকারীরা। চাকার ভিতর, গ্যাস সিলিন্ডার, গাড়ির যন্ত্রাংশে লুকিয়ে ইয়াবা পাচার করতে গিয়ে বিভিন্ন সময়ে অনেকেই চালান নিয়ে আমাদের হাতে আটক হয়েছেন।

তবে এই লকডাউনের এপ্রিল মাসে সব চেয়ে বেশী ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। যা আমার জানামতে লোহাগাড়া থানায় বিগত দুই বছরও হয়নি বলে জানান ওসি।

জানতে চাইলে সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকারিয়া রহমান জিকু বলেন, ইয়াবা পাচার বন্ধে আমরা কঠোর অবস্থানে। গত এপ্রিল মাসে লকডাউনে কারনে গণপরিবহন বন্ধ ছিল। ওই সময় শুধু পণ্যবাহী পরিবহন চলেছে। যেসব পরিবহন মাদক বহন করছে, পুলিশ গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে সেসব পরিবহন থেকে এসব মাদক উদ্ধার করেছে।

তিনি আরো বলেন, আমরা চাই যে কোন উপায়ে ইয়াবা পাচার বন্ধ হউক। মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান জিরো টলারেন্স।


সর্বশেষ সংবাদ