ছেলেকে গলা কেটে হত্যা করে বাবার আত্মহত্যার চেষ্টা

ছেলেকে গলাকেটে হত্যা
ছেলেকে গলাকেটে হত্যা  © প্রতীকি ছবি

মাদারীপুরের কালকিনিতে ১০ বছরের ছেলেকে গলাকেটে হত্যার পর বাবা তোফাজ্জেল হোসেন (৫৫) আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত শিশুটির নাম রনি হোসেন। গতকাল রবিবার রাত ১২টার দিকে কালকিনি উপজেলার গোপালপুর এলাকা থেকে তার গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। একই সময় মুমূর্ষু অবস্থায় বাবাকে উদ্ধার করে পাঠানো হয় সদর হাসপাতালে।

মাদারীপুরের কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইশতিয়াক আসফাক বলেন, রাতেই তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত শিশুর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, স্ত্রীর পরকীয়া, ছেলেকে বাবার থেকে আলাদা করার চেষ্টাসহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে বিক্ষিপ্ত হয়ে বাবা ছেলেকে হত্যা করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এরপরও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ও পুলিশের তদন্ত শেষে বিষয়টি আরও নিশ্চিত করে বলা যাবে।
নিহত শিশুটি সদর উপজেলার খৈয়ারভাঙ্গা মাদ্রাসায় হাফিজি পড়ত। তার শারীরিক প্রতিবন্ধী বাবা তোফাজ্জেল হুইলচেয়ার নিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। তার আরও চার মেয়ে আছে। তাদের সবার বিয়ে হয়েছে।

ওসি বলেন, অসুস্থ তোফাজ্জেল হাসপাতালে ভর্তি। এখনো তিনি কথা বলার অবস্থায় নেই। যা বলেন, তাও এলোমেলো। কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর তার কাছ থেকে ঘটনার বিবরণ শুনে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তোফাজ্জেলের শ্যালক আনোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার বোন চার মাস আগে স্থানীয় এক চা-বিক্রেতার সঙ্গে ঢাকায় চলে গেছেন। দুলাভাই কষ্ট থেকে বাঁচতে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। বোনের বিষয়টি নিয়ে আমরা লোকসমাজে হেয় হচ্ছি।’

তোফাজ্জেলের জামাতা মো. রুবেল বলেন, ‘আমার শ্বশুর ও আমার ঘর পাশাপাশি। রাতে আমার শাশুড়ির সঙ্গে শ্বশুরের ফোনে কথা-কাটাকাটি হয়। কারণ আমার শ্যালক রনিকে শাশুড়ি নিয়ে যেতে চান। যখন ফোনে কথা হয়, তখন রনি ঘুমানো ছিল। আমার শ্বশুর রাত ১০টায় নিজের ঘরে গিয়ে দরজা আটকে দেন। কিছুক্ষণ পর শ্বশুরকে ডাক দিলে তিনি কোনো সাড়াশব্দ করেন না। দরজাও তিনি খোলেন না। পরে প্রতিবেশীরা মিলে দরজা ভেঙে দেখি, বিছানায় ছেলের গলাকাটা লাশ ও পাশে বিষ পান করে অচেতন অবস্থায় পড়ে আছেন তিনি।’


সর্বশেষ সংবাদ