মোদিবিরোধী বিক্ষোভ, নুরদের সংগঠনের ৫৩ জন গ্রেপ্তার
সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করার ঘটনায় ৫৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা সবাই ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর ও তার সহযোগীদের গড়ে তোলা ছাত্র, যুব ও শ্রম অধিকার পরিষদের নেতাকর্মী। সর্বশেষ মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র ও ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আকতার হোসেনকে ক্যাম্পাস থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জানা গেছে, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ছাত্রী, কিশোর, চাকরিজীবীসহ প্রায় ১০ জন রয়েছেন, যাঁদের নাম মামলায় এজাহারে ছিল না। ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা এ মামলাগুলো তদন্ত করছে। এভাবে গ্রেপ্তারকে হয়রানি বলে উল্লেখ করেছেন বিক্ষোভকারীরা।
এ প্রসঙ্গে নুরুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, সব মামলা হয়রানিমূলক। গোয়েন্দা সংস্থা থেকে আগেই সতর্ক করা হয়েছিল। রাস্তায় নামলেই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলা হয়েছিল। তবে তাঁরা জানিয়ে দেন, সভা-সমাবেশ তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকার এবং কর্মসূচি পালন করবেন। সে অনুযায়ী গত ২৫ মার্চ মতিঝিলে মিছিল নিয়ে যান। মিছিল থেকেই ৩৮ জনকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়।’
তিনি জানানম গত ২৭ মার্চ ভাসানী অনুসারী পরিষদের একটি অনুষ্ঠানে থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সফরকে কেন্দ্র করে চারজনকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এরমধ্যে নাজমুস সাকিবকে ৮৪ ঘণ্টা আটকে রেখে ছেড়ে দেয় পুলিশ। বাকি তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে শ্রমিক অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহবায়ক আরিফুল ইসলাম রয়েছেন। তাঁর ভাই শরিফুল ইসলাম আরাফাত বলেন, গত ফেব্রুয়ারিতে চাকরিসূত্রে নোয়াখালীতে চলে যান আরিফুল। সেখানেই তাঁদের বাড়ি। ২৯ মার্চ তাঁর বিয়ে ছিল। মোদির সফরকে ঘিরে ঢাকায় ডামাডোল চলার সময় তিনি নোয়াখালীতে। বিয়ের দুদিন পর গাজীপুরে গেলে সেখান থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) যুগ্ম-কমিশনার মাহবুব গণমাধ্যমকে বলেন, ‘হয়রানির অভিযোগ অসত্য। শাপলা চত্বরে যেভাবে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে, তা মধ্যযুগীয় বর্বরতা বলা যায়। তাদের বড় অংশ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও জামায়াত–শিবিরের কর্মী। সব নুরের দলে ভিড়েছে। অপরাধে জড়িত থাকার তথ্য পেয়েই তাদের ধরা হয়েছে। এসময় পুলিশ এখন ‘অ্যাকশনে’ আছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।