৩৪ জনের মৃত্যুর পর কার্গো চালক বললেন, লঞ্চটি দেখতে পাননি
নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীতে লঞ্চডুবির ঘটনায় জড়িত কার্গোর চালক দাবি করেছেন, যাত্রীবাহী লঞ্চটিকে তিনি দেখতে পাননি। আজ বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া থেকে কার্গোটি আটক করার পর চালক ওয়াহিদুজ্জামান সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। দুপুরে গজারিয়ায় নোঙর করা অবস্থায় এসকেএল-৩ নামের কার্গো জাহাজটি আটক করে কোস্টগার্ড।
এ সময় চালকসহ ১৪ জনকে আটক করা হয়। পরে কার্গো ও আটক ব্যক্তিদের নারায়ণগঞ্জ নৌ পুলিশের হাতে তুলে দেয় কোস্টগার্ড। পরে কার্গো ও আটক ব্যক্তিদের নারায়ণগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয়।
চালক ওয়াহিদুজ্জামান দাবি করেন, ‘লঞ্চটি বাম পাশে ছিল। লঞ্চটিকে দেখতেই পাইনি। ধাক্কা লাগার পর বুঝতে পারি। তখন ভয়ে কার্গো নিয়ে সামনের দিকে যেতে থাকি, বিভিন্ন জায়গায় কার্গো নিয়ে ঘুরেছি। পরে ওপরের অংশের নীলের বদলে ছাই রং করা হয়। এতে কার্গোর নাম ঢেকে যায়।’
গত রোববার সন্ধ্যায় শীতলক্ষ্যা নদীতে জাহাজের ধাক্কায় ডুবে যায় যাত্রীবাহী লঞ্চ সাবিত আল হাসান। দুর্ঘটনায় এ পর্যন্ত ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় জাহাজের চালকসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ বন্দর থানায় মামলা করে বিআইডব্লিউটিএ। তবে মামলায় জাহাজ, চালক বা মালিক কারোর নাম উল্লেখ করা হয়নি বলে জানিয়েছেন ওসি দীপক চন্দ্র সাহা।