০৮ এপ্রিল ২০২১, ১৩:০৭

ডিজিটাল আইনে মামলা দিয়ে মাদানীকে পুলিশে দিল র‌্যাব

মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী  © ফাইল ফটো

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ায় ‘শিশুবক্তা’ মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানীর (২৬) বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে। বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের গাছা থানায় র‌্যাব বাদী হয়ে মামলা করে। পরে র‌্যাব রফিকুলকে গাছা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

তিনি বলেন, গাছায় এক ওয়াজে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ায় মাদানীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করা হয়েছে।

মামলার বরাতে পুলিশ জানায়, গাছা থানাধীন বোর্ড বাজার এলাকার শীতক ফ্যাক্টরির ভেতর গত ১০ ফেব্রুয়ারি এক ওয়াজ মাহফিলে প্রশাসন সম্পর্কে নানা উস্কানিমূলক মন্তব্য করে তা ইউটিউবে ছাড়েন মাদানী। এর কারণে ব্রাহ্মবাড়িয়া, চট্টগ্রামসহ বিভিন্নস্থানে ধ্বাংসাত্মক কার্যকলাপ সংঘটিত হয়।

মামলায় রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫, ২৮ ও ৩১ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। যেখানে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও অনুভূতিতে আঘাত করে আক্রমণাত্মক ও মিথ্যা ভীতি প্রদর্শন; তথ্য উপাত্ত ইলেকট্রনিক্স বিন্যাসে প্রকাশ ও সম্প্রচার করে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটানোর অপরাধের কথা বলা হয়েছে।

এর আগে বুধবার দুপুরে নেত্রকোনা থেকে শিশুবক্তা হিসেবে পরিচিত রফিকুল ইসলামকে আটক করে র‌্যাব। এসময় তার কাছ থেকে চারটি মোবাইল জব্দ করা হয়।

র‌্যাব সূত্র জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে রফিকুলের কাছ থেকে জব্দ করা ফোন তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু পর্ন ভিডিও পাওয়া গেছে। এছাড়া আসমা বেগম নামের এক নারীকে গোপনে বিয়ে করেছেন তিনি। সেই নারী সম্পর্কে তার ভাবির চাচাতো বোন। ২০১৯ সালের শেষদিকে তিনি ওই নারীকে বিয়ে করলেও তার পরিবারের কেউ তা জানতেন না।

রফিকুল ইসলাম রাজধানীর জামিয়া মাদানীয়া বারিধারা মাদরাসায় লেখাপড়া করেন। শারীরিক আকৃতিতে ছোট হওয়ায় তাকে সবাই শিশুবক্তা বলে থাকেন এবং এ হিসেবেই পরিচিতি পান তিনি। রফিকুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনায়। থাকেন ঢাকার অদূরে গাজীপুরে। তিনি বিএনপি-জামায়াত জোটের শরিকদল জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের অঙ্গসংগঠন যুব জমিয়তের নেত্রকোনা জেলার সহ-সভাপতি।