এসএসসির সার্টিফিকেট বিক্রি ৫ হাজারে ও এইচএসসির ১০ হাজারে

গ্রেফতার রাকিব ও মোবারক
গ্রেফতার রাকিব ও মোবারক  © টিডিসি ফটো

প্রায় তিন বছর ধরে নীলক্ষেতে দোকান খুলে জাল সার্টিফিকেট ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা বিক্রি করে আসছিলেন রাকিব ও মোবারক। জাল সার্টিফিকেট নিতে আগ্রহী ক্রেতা খুঁজে বের করতেন একজন। আর চাহিদা অনুযায়ী সেই জাল সার্টিফিকেট তৈরি করে দিতেন আরেকজন।

জাল সার্টিফিকেট তৈরিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জামাদি, এসএসসি, এইচএসসিসহ বিভিন্ন পরীক্ষার জাল সার্টিফিকেট উদ্ধারসহ ওই দু’জনকে গ্রেফতারের পর এ তথ্য জানিয়েছে র‌্যাব। বুধবার (১০ মার্চ) রাতে নীলক্ষেত বাকুশাহ হর্কাস মাকেটের ভার্সিটি মাল্টিকালার নামক দোকান থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

র‌্যাব-২ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি মো. আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, ভার্সিটি মাল্টিকালার নামক দোকানটিতে ভুয়া সার্টিফিকেট ও মার্কশিট তৈরি হয় বলে খবর ছিল। ওই সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার রাতে রাকিব ও মোবারককে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি সিপিইউ, একটি মনিটর, পাঁচটি প্রিন্টার, একটি স্ক্যানার, একটি রাউটার, সাতটি ভুয়া সার্টিফিকেট ও তিনটি ভুয়া সার্টিফিকেট তৈরির শাপলা জল ছাপ দেওয়া সাদা কাগজ জব্দ করা হয়েছে।

অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া র‌্যাব-২ এর মেজর মীর্জা আহমেদ সাইফুর রহমান জানান, মোবারক জাল সার্টিফিকেটের ক্রেতা সংগ্রহ করে শুনতেন কে কী ধরনের সার্টিফিকেট চান। সে অনুযায়ী রাকিবকে জানালে রাকিব জাল সার্টিফিকেট তৈরি করে দিতেন।

দীর্ঘদিন ধরেই জাল সার্টিফিকেট তৈরি করে আসছিলেন রাকিব ও মোবারক। এসএসসি পরীক্ষার জাল সার্টিফিকেটের জন্য তারা ৫ হাজার ও এইচএসসি পরীক্ষার জাল সার্টিফিকেটের জন্য ১০ হাজার টাকা করে নিতেন।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে মেজর সাইফুর বলেন, করোনার ভয়াবহতার মধ্যে এ দু’জন বিপুল পরিমাণ জাল সার্টিফিকেট তৈরি করে হাতিয়েছেন মোটা অঙ্কের টাকা। সাধারণত যেসব প্রতিষ্ঠান সার্টিফিকেট সত্যায়ন বা জাল কিনা তা চেক করে না, সেসব প্রতিষ্ঠানে চাকরির জন্য এসব জাল সার্টিফিকেট ব্যবহার করা হতো।
মেজর সাইফুর বলেন, এদের দেওয়া তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের ভিত্তিতে এই চক্রের সাথে জড়িত অন্য সদস্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে নিউমার্কেট থানায় প্রতারণার মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন।


সর্বশেষ সংবাদ