বিয়ে দেয়ার কথা বলে বাড়িতে ডেকে নবম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ
খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার সোনাতনকাঠি গ্রামে ভালো ছেলের সঙ্গে বিয়ে দেয়ার কথা বলে মা ও মেয়েকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে অজ্ঞান করে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির নাম মিজানুর রহমান (৪৫)। পেশায় তিনি একজন মাছ ব্যবসায়ী। সে উপজেলার উত্তর সলুয়া গ্রামের মৃত রহিম বক্সের ছেলে।
এ ঘটনায় মেয়েটির মা বাদী হয়ে মিজানুরের বিরুদ্ধে পাইকগাছা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলার পর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মাছ বিক্রি করতে গিয়ে পার্শ্ববর্তী সোনাতনকাটী গ্রামের একটি পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয় মিজানুরের। সম্পর্কের সূত্রধরে ওই পরিবারের নবম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়েকে চাকরিজীবী ছেলের সঙ্গে বিয়ের প্রলোভন দেখায় ব্যবসায়ী মিজানুর। এরই সূত্রধরে গত ৩ মার্চ বিকেলে ওই পরিবারের বাড়িতে গিয়ে স্কুল পড়ুয়া মেয়ে ও তার মাকে ছেলে দেখানোর জন্য নিজের বাড়িতে ডেকে নেয় ব্যবসায়ী মিজানুর। সেখানে মা ও মেয়েকে সরবতের সঙ্গে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে দিলে তারা অচেতন হয়ে পড়ে। ১ ঘণ্টা পর মায়ের জ্ঞান ফিরে আসলে দেখে ওই বাড়িতে ব্যবসায়ী মিজানুর এবং তার মেয়ে নাই।
পরে বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি তার স্বামীকে জানায়। এর পরের দিন সকালে মেয়েটিকে কপিলমুনি বাজারের ধান্য মার্কেট এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। পরে মেয়েটি তার পরিবারকে জানায় ব্যবসায়ী মিজানুর কয়রা এলাকায় অজ্ঞাত একটি বাড়িতে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করেছে। এ ঘটনায় মেয়েটির মা বাদী হয়ে মিজানুরের বিরুদ্ধে পাইকগাছা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেছে।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে পাইকগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এজাজ শফী জানান, মামলার আসামি ব্যবসায়ী মিজানুরকে আটক করে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ভিকটিমকে উদ্ধার করে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।