চট্টগ্রামে প্রবাসী হত্যায় ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি  © সংগৃহীত

১৭ বছর আগে চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে নেছার আহমেদ ওরফে তোতা মিয়া নামে এক প্রবাসীকে হত্যার মামলায় নয় জনকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা দেয়ারও আদেশ দেয়া হয়েছে।

সোমবার (৮ মার্চ) চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ফারজানা আক্তার এ রায় ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মো. নাসির উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দণ্ডিত আসামিরা হলেন- শাহীন, বাবুল, ল্যাডা নাছির, নুরুল ইসলাম, মো. জোবায়ের, দিদার, আবু বক্কর বাঁশি, ইসমাইল ও মো. জঙ্গু। রায় ঘোষণার সময় মামলার আসামি শাহিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকিরা পলাতক। এছাড়া অভিযোগপত্রভুক্ত ১০ আসামির মধ্যে একজনের মৃত্যু হওয়ায় মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৩ সালে দেশে ফেরেন ফটিকছড়ি উপজেলার দক্ষিণ রাঙামাটিয়া গ্রামের নেছার আহমেদ প্রকাশ তোতা। তবে প্রবাসে যাওয়ার আগ থেকে এলাকার সন্ত্রাসী ল্যাডা নাছির ও তার সহযোগীদের সাথে বিরোধে জড়ান তোতা। দেশে ফেরার পর একই গ্রামের জনৈক এজাহার মিয়াকে পাঁচ হাজার টাকা ধার দেন তোতা। সেই টাকা উদ্ধারের কথা বলে ল্যাডা নাছির কৌশলে তোতার ওপর প্রতিশোধ নেয়ার পরিকল্পনা করেন।

২০০৩ সালের ১ নভেম্বর বিকেলে এজাহারের কাছ থেকে টাকা উদ্ধারের কথা বলে তোতাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় আসামিরা। পরদিন সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নেছারের স্ত্রী মোর্শেদা স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে দক্ষিণ রাঙামাটিয়া গ্রামে একটি পাহাড়ের পাদদেশে সড়কে তার স্বামীর রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় ওইদিন নিহতের স্ত্রী মোর্শেদা আক্তার বাদী হয়ে ফটিকছড়ি থানায় আটজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর পুলিশ ৯ জনকে গ্রেফতার করে। পরে জামিনে গিয়ে আটজন পালিয়ে যান।

মামলা তদন্ত করে পুলিশ মোট ১০ জনকে আসামি করে ২০০৪ সালের ১৪ মে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। ১০ জনের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় আদালত আজ নয়জনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর এবং ২০ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ দেন।


সর্বশেষ সংবাদ