ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত

  © ফাইল ফটো

চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী থানার মুক্তিযোদ্ধা কলোনিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ছুরিকাঘাতে সংগঠনের এক কর্মী নিহত হয়েছেন। রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত ২৭ বছরের যুবক মো. ইমন মুক্তিযোদ্ধা কলোনির নুর কাশেমের ছেলে। বায়েজিদ বোস্তামী থানার এসআই ছোটন সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার বলেন, ছুরিকাঘাতে আহত এক যুবককে রাত সাড়ে ৯টার দিকে হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত ইমনের বন্ধু মোহাম্মদ ইয়াছিন বলেন, ‘আমি, ইমনসহ কয়েকজন মিলে মুক্তিযোদ্ধা কলোনির খলিলের দোকানে বসে কোল ড্রিংক খাচ্ছিলাম। এই সময় হঠাৎ করে ৫০-৬০ লোক এসে ধর ধর চিৎকার করে আমাদেরকে ধাওয়া করে।

‘তাদের হাতে লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র ছিল। তাদের ধাওয়া খেয়ে আমরা দৌঁড়ে পালাই। কিন্তু ইমনকে তারা ধরে ফেলে। দূর থেকে দাঁড়িয়ে আমরা দেখছিলাম, ইমনকে মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারধর শুরু করে হামলাকারীরা। একপর্যায়ে তাকে ছুরিকাঘাত করে তারা চলে যায়। পরে এসে দেখি ইমন রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছে।’

নিহত ইমন সদ্য ঘোষিত বায়েজিদ থানা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী। তিনি চট্টগ্রাম সরকারি পলিটেকনিক কলেজ সাবেক ছাত্রলীগ নেতা তানজির আহমেদের কর্মী বলে এলাকায় পরিচিত।

অন্যদিকে হামলাকারীরা হচ্ছে চট্টগ্রাম সরকারি পলিটেকনিক কলেজের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আবু মহিউদ্দীনের অনুসারী।

হামলার ব্যাপারে জানতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আবু মহিউদ্দীনকে একাধিকবার ফোন করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।


সর্বশেষ সংবাদ