ছাত্রকে যৌন হেনস্তার পর নির্যাতন, গ্রেপ্তার দুই শিক্ষক
এক মাদ্রাসাছাত্রকে যৌন নির্যাতনের পর মারধরের অভিযোগে লক্ষ্মীপুরে দুই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত সোমবার (১ মার্চ) সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ বাজারের আত-তামরীন ইন্টারন্যাশনাল হিফযুল কুরআন মাদ্রাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাদের।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুর রশিদ মোহাম্মদ ইউসুফ ও নির্যাতনকারী হেফজ বিভাগের শিক্ষক মাসুম বিল্লাহ। আব্দুর রশিদ ভোলার বোরহান উদ্দিন থানার দক্ষিণ চকডোষ গ্রামের ক্বারী সিরাজুল হকের ছেলে। আর মাসুম বিল্লাহ কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ থানার ফেনুয়া গ্রামের হারুনুর রশিদের ছেলে।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী শিশু ওই মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র। আবাসিকে থেকে পড়ালেখা করত সে। কয়েকদিন আগে মাসুম বিল্লাহ খাওয়ার রুমে ডেকে নিয়ে তাকে যৌন নির্যাতন করে। এ ঘটনা কাউকে জানালে প্রাণনাশ করারও হুমকি দেয়। সম্প্রতি মাদ্রাসা ছুটি দিলে শিশুটি বাড়িতে যায়। তবে মাদ্রাসা খোলা হলেও সে যেতে অস্বীকৃতি জানায়।
এ সময় শিশুটি ওই ঘটনা তার মাকে জানায়। পরেপর ২৬ ফেব্রুয়ারি তার মা ও স্বজনরা মাদ্রাসায় গিয়ে অধ্যক্ষ আব্দুর রশিদকে ঘটনাটি জানান। কিন্তু অধ্যক্ষ ওই ঘটনার তদন্ত না করেই মাদ্রাসার সুনাম ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে শিশুটিকে বেদম প্রহার করে আটকে রাখে। গত সোমবার খবর পেয়ে শিশুর মা ও স্বজনরা মাদ্রাসায় গিয়ে শিশুটিকে আহত অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন।
ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে তাদের দুজনকে আটক করে। পরে শিশুর মা বাদী হয়ে মামলা করলে তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। শিশুটির মা বলেন, ‘আমার ছেলের সঙ্গে খুব খারাপ কাজ করেছে শিক্ষকরা। আমি অধ্যক্ষের কাছে বিচার চাইলে আমার ছেলেকে পিটিয়ে জখম করেছে। আমি তাদের বিচার চাই।’
চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি একে ফজলুল হক বলেন, ‘শিশুর মায়ের দায়ের করা মামলায় দুই শিক্ষককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।’