২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১০:২৬

মেডিকেল প্রশ্ন ফাঁস করতে ৬৫ কোটি টাকা লেনদেন

মেডিকেল প্রশ্ন ফাঁস চক্রের হোতা স্বাস্থ্যশিক্ষা ব্যুরোর মেশিনম্যান আবদুস সালাম খান  © ফাইল ফটো

মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস করার একটি বড় চক্রের সন্ধান পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এরমধ্যে সাত সদস্যের প্রায় ৩৩ কোটি টাকা মূল্যের জমির খোঁজ পেয়েছে তারা। আর গ্রেপ্তার হওয়া ১৩ সদস্যের ১৩৫টি ব্যাংক হিসাবে জমা হয় প্রায় ৬৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে প্রায় ৬৪ কোটি টাকা তাঁরা তুলেও নিয়েছে বলেও জানতে পেরেছে সিআইডি।

প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্র সম্পর্কে অনুসন্ধান করা সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার জুয়েল চাকমা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘চক্রের অপরাধলব্ধ অর্থ ও সম্পদের অনুসন্ধানের কাজ শেষ হয়েছে।’ তাঁদের বিরুদ্ধে এখন মানি লন্ডারিং আইনে মামলা করার কাজ চলছে বলে তিনি জানান।

সূত্র জানায়, ২০১৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনার সূত্র ধরে সিআইডি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের প্রশ্নপত্র ফাঁসের তথ্য পায়। এরপর মিরপুর থেকে জসিমসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। তাঁদের তথ্যের ভিত্তিতে সালামকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় ১৪ জনের নাম উল্লেখসহ ১৫০ থেকে ২০০ সদস্যের বিরুদ্ধে মিরপুর থানায় মামলা করা হয়।

জানা গেছে, মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করে ২০০৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ১৩ বছরে চক্রের এসব সদস্য বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন। এরমধ্যে বেশি সম্পদ গড়েছেন স্বাস্থ্যশিক্ষা ব্যুরোর মেশিনম্যান আবদুস সালাম খান এবং তাঁর খালাতো ভাই জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া ওরফে মুন্নু। এছাড়া জসিমের স্ত্রী শারমিন আরা জেসমিন, বড় বোন শাহজাদি আক্তার ওরফে মিরা, তার দুই ভগ্নিপতি আলমগীর হোসেন ও জাকির হোসেন, ভায়রা সামিউল জাফর ওরফে সেটু এবং ভাতিজা এম এইচ পারভেজ খান এই চক্রের সদস্য।

এর মধ্যে শাহজাদি ছাড়া বাকিরা বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। ফাঁস করা প্রশ্নে পরীক্ষা দিয়ে শাহজাদি মেডিকেলে ভর্তিও হন। তিনি ইতিমধ্যে এমবিবিএস পাসও করেছেন। সিআইডি জানায়, এই আটজন ও জসিমের সন্তানদের নামে সাড়ে ৪২ একর জমির ৭৪টি দলিল রয়েছে। এই জমির দাম অন্তত ৩৩ কোটি টাকা। মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরের খানবাড়িয়ার জসিম ও চক্রের অপর ছয় সদস্যের জমির বেশির ভাগই কেনা ২০০৬ সালের পর।