স্কুলছাত্রী ও তার মাকে গাছে বেঁধে নির্যাতন

নির্যাতনের দৃশ্য
নির্যাতনের দৃশ্য  © ফাইল ফটো

সুদের টাকা আদায় করতে বিধবা মা ও স্কুলে পড়ুয়া মেয়েকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নের সিরাজপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নির্যতনের ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকালে ওই স্কুলছাত্রীর মা মমতাজ বেগম কালিয়াকৈর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। শুক্রবার দুপুরে ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবুজ নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়।

জানা গেছে, প্রতারক চক্রের ফাঁদে পড়ে স্বর্ণালংকারসহ আনুমানিক প্রায় ৩ লাখ টাকা ঋণগ্রস্থ হয়ে পড়েন মমতাজ বেগম। পরে তাকে বাধ্য হয়ে স্থানীয় গফুর ড্রাইভার ও মনির হোসেনের পরিবারসহ বেশ কয়েকজনের কাছ থেকে সুদে টাকা নিতে হয়েছে।

এ বিষয় নিয়ে চলতি মাসের ১ তারিখ সন্ধ্যায় স্থানীয় ইউপি সদস্য ইব্রাহীম সিকদার মধ্যস্থতা করে সুদের টাকা পরিশোধের জন্য এক মাসের সময় বেঁধে দেন। কিন্তু বেঁধে দেওয়া সময় শেষ না হতেই গফুর ড্রাইভার, তার স্ত্রী কুলসুম বেগম, ছেলে রিপন হোসেন এবং মনির হোসেন ও তার স্ত্রী শিল্পী বেগম, মেয়ে মুক্তা আক্তার, ছেলে শহিদ হোসেন, স্থানীয় নয়ন হোসেন বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভুক্তভোগীর বাড়ি ঘেরাও করে।

এ সময় তারা সুদের টাকা আদায় করতে বিধবা মমতাজ বেগমকে একটি গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে মারধর করতে থাকে। মাকে মারধরের হাত থেকে বাঁচাতে ১০ম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে এগিয়ে গেলে তাকেও একই গাছে বেঁধে রাখে। এ করুণ দৃশ্যটি ভিডিও ধারণ করতে গেলে ভুক্তভোগীর ছোট বোনকেও গাছের সঙ্গে বাঁধার চেষ্টা করেন।

ওই ঘটনায় বিধবা নারী বাদী হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে কালিয়াকৈর একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার আসাসিরা হলেন, ড্রাইভার আব্দুল গফুর, মনির, রিপন, শিল্পি, মুক্তা, শহীদ, কুলছুম ও নয়ন সিকদার। এদিকে সবুজ এজাহার ভুক্ত আসামি না হলেও কালিয়াকৈর থানার ওসি ঘটনাস্থল পরিদর্শন কালে ওই ঘটনায় তার সম্পৃক্ততা পেয়ে তাকে গ্রেফতার করে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী জানান, ওই ঘটনার মূলহোতা সবুজকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।


সর্বশেষ সংবাদ