৩ পেগ মদ পানের পর আমার রক্তবমি হয়: নেহা
মদপানে ইউল্যাবের এক শিক্ষার্থী মৃত্যুর পর তার বান্ধবী নেহাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতার নেহা গতকাল শুক্রবার আদালতে জবাবন্দী দিয়েছেন।
আদালতকে নেহা বলেন, গত ২৮ জানুয়ারি আমার বন্ধু আরাফাতের নিমন্ত্রণে উত্তরার ‘ব্যাম্বুসুট রেস্টুরেন্টে’ যাই। সেখানে গিয়ে আরো কয়েকজনকে দেখতে পাই। আমি আরাফাত ছাড়া অন্য কাউকে চিনতে পারিনি। সেখানে আমি মদপান করি। ৩ পেগ পান করার পর আমার মুখ দিয়ে রক্ত বের হয় এবং বমিও হয়। আমি তখন সেখান থেকে বাসায় চলে যাই। বাসায় যাওয়ার পরও আমার কয়েক দফা বমি হয়। এমন পরিস্থিতিতে আমি হাসপাতালে চিকিৎসা নেই।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানীর আজিমপুর এলাকার একটি বাসা থেকে নেহাকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাণ হারানো ছাত্রীর বাবার করা মামলায় তিনি এজাহারভুক্ত আসামি।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ২৮ জানুয়ারি বিকেল ৪টায় মর্তুজা রায়হান ওই তরুণীকে নিয়ে মিরপুর থেকে আরাফাতের বাসায় যান। সেখানে স্কুটার রেখে আরাফাত, ওই তরুণী এবং রায়হান একসঙ্গে উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের ব্যাম্বু সুট রেস্টুরেন্টে যান। সেখানে আগে থেকেই আরেক আসামি নেহা এবং একজন সহপাঠী উপস্থিত ছিলেন। সেখানে আসামিরা ওই তরুণীকে জোর করে ‘অধিক মাত্রায়’ মদপান করান।
মদপানের একপর্যায়ে ওই তরুণী অসুস্থ বোধ করলে রায়হান তাকে মোহাম্মদপুরে ওই তরুণীর বান্ধবী নুহাত আলম তাফসীরের বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে ওই তরুণীর সঙ্গে রায়হানের একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন হয়।