০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১০:৪২

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে কাফনের কাপড় পাঠিয়ে সাংবাদিককে হত্যার হুমকি!

দুই সাংবাদিককে হত্যার হুমকি দিয়ে পাঠানো চিঠি  © সংগৃহীত

অনিয়ম-দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করায় বৈশাখী টেলিভিশনের সাংবাদিক কাজী ফরিদকে কাফনের কাপড় পাঠিয়ে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি কাজী ফরিদ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তৈরি করেন, যা বৈশাখী টেলিভিশনে পাঁচ পর্বে প্রচারিত হয়। এ সংবাদ প্রচার হওয়ার পর সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী প্রক্টর মো. সুমন ইসলামের নামে বৈশাখী টিভির স্টাফ রিপোর্টার কাজী ফরিদের অফিসের ঠিকানায় কুরিয়ারে কাফনের কাপড় পাঠিয়ে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়।

এ ঘটনায় নিজের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন কাজী ফরিদ বনানী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। জিডি সূত্রে জানা যায়, গত ১১ জানুয়ারি থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বৈশাখী টেলিভিশনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে পাঁচ পর্বের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রচারিত হয়। এরপর সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে অফিসের ঠিকানায় প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের খামে দুটি চিঠি এসেছে। চিঠিতে প্রেরকের জায়গায় লেখা আছে- মো. সুমন ইসলাম, সিনিয়র সহকারি প্রক্টর, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর। মোবাইল নম্বর: ০১৭১২৬৮৩৮০৪।

দুটি চিঠির একটি ফরিদ ও অন্য চিঠি বৈশাখী টেলিভিশনের প্রধান বার্তা সম্পাদক সাইফুল ইসলামের নামে পাঠানো। দুটি খামের ভেতরে সাদা কাগজে টাইপ করা চিঠিতে হুমকি দিয়ে লেখা হয়েছে, ‘বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বজন শ্রদ্ধেয় মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন অর রশিদ স্যার ও সফল প্রক্টর তায়েহীদ জামাল শিপু স্যারের মত সৎ ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তির বিরুদ্ধে মিথ্যা অপ্রপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব ও করুণ পরিণতির জন্য তৈরি থাক, রাস্কেল।’

অভিযোগে সাংবাদিক কাজী ফরিদ উল্লেখ করেন, ‘দুটি খামে দুজনের নামে পাঠানো দুটি চিঠির ভাষা একই। শুধু তাই নয়, দুটি খামের মধ্যে চিঠির সাথে এক টুকরো করে কাফনের কাপড়ও পাঠানো হয়েছে। চিঠি হাতে পাওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে আমি ও বৈশাখী টিভির প্রধান বার্তা সম্পাদক সাইফুল ইসলাম চরম উদ্বিগ্ন ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’

তবে চিঠিতে উল্লেখিত নাম্বারে ফোন দেওয়া হলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের হারুন অর রশিদ নামে একজন ফোন রিসিভ করেন। তিনি বলেন, ‘চিঠিতে যে পদ ও যার নাম উল্লেখ রয়েছে, সে নামে বিশ্ববিদ্যালয়ে কেউ নেই, পদও নেই। এ বিষয়ে থাকায় একটি জিডি করা হয়েছে।’ 

এ বিষয়ে বনানী থানার ওসি নূরে আযম মিয়া বলেন, ‘বিষয়টির তদন্ত চলছে। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’