মধ্যপ্রদেশে এবার ১৩ বছরের কিশোরীকে তিনদফায় ৯ জনের ধর্ষণ!
ভারতের মধ্যপ্রদেশে এবার তিন দফায় মোট ৯ জনের সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে ১৩ বছরের এক কিশোরী। দফায় দফায় অপহরণ করে তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকি জঙ্গলের মধ্যে আটকে রেখে তার উপর নৃশংস অত্যাচার চালানো হয়। হুমকি দেওয়া হয় মেরে ফেলারও। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ছয় জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আনন্দবাজার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, নারীদের নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে রাজ্যে দু’সপ্তাহব্যাপী ‘সম্মান’ প্রকল্প অভিযান চালাচ্ছে শিবরাজ সিংহ চৌহানের সরকার। তার মধ্যেই এই নৃশংস ঘটনায় শিউরে উঠেছে গোটা ভারত। মধ্যপ্রদেশের উমেইরা জেলায় এ ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, গত ৪ জানুয়ারি এক পরিচিত মেয়েটিকে প্রথমে অপহরণ করে। তার পর ছয় বন্ধুর সঙ্গে মিলে দু’দিন ধরে আটকে রেখে তাকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ।
পরে ৫ জানুয়ারি মেয়েটিকে ছেড়ে দেওয়া হলেও, এ নিয়ে কারও কাছে মুখ খুললে খুন করে ফেলা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়। এর ছয় দিনের মাথায় ১১ জানুয়ারি ফের তাকে অপহরণ করা হয়। এরপর তিনজন মিলে তাকে ধর্ষণ করে। জঙ্গলের মধ্যে তাকে বন্দি করে রাখা হয়। আটকে রাখা হয় রাস্তার ধারের একটি খাবারের দোকানে। কিন্তু এখানেই নৃশংসতার শেষ নয়।
সেখান থেকে ছাড়া পাওয়ার পর রাস্তায় দুই ট্রাক চালকের হাতে পড়ে সে। তাঁরাও মেয়েটিকে অপহরণ করে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। কোনও রকমে সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয় ওই কিশোরী। গত শুক্রবার ভোরে নিজের বাড়িতে ফিরে আসে সে। বাড়ির লোকজনই পরে পুলিশে খবর দেন।
তার বক্তব্যের আলোকে তদন্তে নামে পুলিশ। এ পর্যন্ত ছয় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে বিভিন্ন জায়গায়। রাজ্য পুলিশের মুখপাত্র অরবিন্দ তিওয়ারি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘যৌন নির্যাতন, শিশু সুরক্ষা আইন (পকসো) এবং অন্যান্য ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। এ পর্যন্ত ছয় জনের নাগাল পাওয়া গেছে।’
গত ছয় দিনে এই নিয়ে মধ্যপ্রদেশ থেকে চারটি এমন নৃশংস ঘটনা সামনে এল। গত ৯ জানুয়ারি সিধি জেলায় ৪৮ বছরের এক নারীকে ৫ জন মিলে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। ধর্ষণের পর তারযৌনাঙ্গে লোহার রড ঢুকিয়ে দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। তার দু’দিন পর ১১ জানুয়ারি খান্ডওয়ায় ১৩ বছরের এক মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ ও খুন করে তারই প্রতিবেশী যুবক।
১২ জানুয়ারি উজ্জ্বয়িনীতে পরকীয়ায় জড়িত সন্দেহে এক নারীর উপর স্বামী ও শ্বশুর মিলে অত্যাচার চালিয়েছেন বলে জানা যায়। পরিবারের নারী সদস্যরাও তাতে যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ। ধারালো অস্ত্র দিয়ে ওই নারীর নাক ও স্তন কেটে দেওয়া হয়। এ মুহূর্তে ইনদোরের একটি হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন ওই নারী।