উদ্ধার হওয়া আলামতে ধর্ষণের প্রমাণ পেল পুলিশ
রাজধানীর কলাবাগানে মাস্টারমাইন্ডের ছাত্রী আনুশকা আমিন অর্ণাকে (১৭) ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত দিহানের বাসা থেকে উদ্ধার হওয়া আলামতে ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে এ কথা জানান ডিএমপির রমনা বিভাগের নিউ মার্কেট জোনের সহকারী কমিশনার আবুল হাসান।
তিনি বলেন, ধর্ষণের মামলায় একমাত্র আসামি অভিযুক্ত দিহান প্রাথমিক ভাবে ধর্ষণের কথা আমাদের কাছে শিকার করেছে। সুরতহাল প্রতিবেদনে মেয়েটির শরীরে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। এছাড়া দিহানের বাসা থেকে উদ্ধার হওয়া আলামতে ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়া গেছে। দিহানকে আমরা আজই আদালতে তুলবো। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েক দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে, সেটা নিয়েই আলোচনা চলছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ভুক্তভোগীর মা কর্মস্থলের উদ্দেশে বের হয়ে যান। এর এক ঘণ্টা পর তার বাবাও বাসা থেকে বের হন। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ওই শিক্ষার্থী মাকে ফোন করে কোচিং থেকে পড়ালেখার পেপার্স আনার কথা বলে বের হয়েছিল। এ মামলার একমাত্র আসামি আনুমানিক ১টা ১৮ মিনিটে ফোন করে ওই শিক্ষার্থীর মাকে জানান, মেয়েটি তার বাসায় গিয়েছিলেন। হঠাৎ অচেতন হয়ে পড়ায় তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
অফিস থেকে বের হয়ে ১টা ৫২ মিনিটে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা হাসপাতালে পৌঁছান। সেখানে কর্মচারীদের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন, আসামি তার কলাবাগান ডলফিন গলির বাসায় ডেকে নিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। প্রচুর রক্তক্ষরণের কারণে অচেতন হয়ে পড়লে বিষয়টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে আসামি নিজেই তাকে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে কলাবাগান থানা পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে এবং মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
পুলিশের এসি আবুল হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ওই তরুণ দাবি করেছে, মেয়েটি তাঁর পূর্বপরিচিত। বাসার সবাই রাজধানীর বাইরে থাকায় তাকে ডলফিন গলির দ্বিতীয় তলার ফ্ল্যাটে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে তাঁদের শারীরিক সম্পর্ক হয়। এরপর মেয়েটি অচেতন হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সুরতহাল প্রতিবেদনে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।’