ও-লেভেলের ছাত্রী ধর্ষণের নেপথ্যে প্রেম, ধারণা পুলিশের
রাজধানীর কলাবাগান এলাকায় এক বন্ধুর বাড়িতে মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের ছাত্রীর (১৮) মৃত্যুর পর ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তার মৃত্যুর পর ওই বন্ধুসহ আরও তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে ধর্ষণের আলামত পাওয়ার কথাও জানিয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) বিকেলে ওই কিশোরীকে তার ছেলে বন্ধু অসুস্থ অবস্থায় রাজধানীর আনোয়ার খান মর্ডান হাসপাতালে নিয়ে যান।
অভিযুক্ত কিশোর পুলিশকে জানিয়েছে, রক্তক্ষরণের পর তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। তার পরিবারের পক্ষ থেকে এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। প্রাথমিকভাবে মূল অভিযুক্ত ইফতেখার ফারদিন দিহান পুলিশের কাছে দাবি করেছে, তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
এ বিষয়ে কলাবাগান থানার পরিদর্শক (অপারেশন্স) ঠাকুরদাস মালু গণমাধ্যমকে বলেছেন, অভিযুক্ত কিশোর ও নিহত কিশোরীর মধ্যে ‘দৈহিক সম্পর্ক’ ঘটার বিষয়টি তারা মোটামুটি নিশ্চিত হয়েছেন। ওই বাসা থেকে বেশ কিছু আলামত জব্দ করা হয়েছে। সেখানে শারীরিক সম্পর্কের প্রমাণ মিলেছে। কিশোরীর পরিবারেরও অভিযোগ, ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। দীহানের সঙ্গে আনুশকার প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলেও জানান তিনি।
আর ডিএমপির রমনা বিভাগের উপকমিশনার সাজ্জাদুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ওই কিশোরীকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে জানায়। পরে লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ওই কিশোরীরের তিন বন্ধুও হাসপাতালে এসেছিল। তাদেরকেও আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত তার মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত কিছু বলা যাচ্ছে না। ধর্ষণের বিষয়টিও মাথায় রেখে নমুনা রাখা হয়েছে। সব দিক বিবেচনায় এনে তদন্ত করছি।’
কলাবাগান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আসাদুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘অভিযুক্ত ইফতেখার ফারদিন দিহান দাবি করছে, তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক। তার বাসায় কিশোরীটি অজ্ঞান হয়ে গেলে তিন বন্ধু মিলে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেখান থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।’
আর নিউমার্কেট জোনের এসি আবুল হাসান বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে দিহান হত্যা ও ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে দেখছি। নিহত কিশোরীর শরীরে ফোলা জখমের চিহ্ন রয়েছে, রক্তক্ষরণও হয়েছে। হাসপাতালে নিয়ে আসার তারা যে গাড়ি ব্যবহার করে, তাও জব্দ করা হয়েছে।’