স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যায় পৌর মেয়র রিমান্ডে
ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান শুভ্র হত্যা মামলার আসামি পৌর মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলাম রফিককে দু’দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ময়মনসিংহের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সৈয়দ রফিকুল ইসলাম গৌরীপুর পৌরসভার টানা দু’বারের মেয়র। তিনি পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি শাহ কামাল আকন্দ। তিনি বলেন, বাদী পক্ষের আইনজীবী শুভ্র হত্যা মামলায় মেয়র রফিকের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আদালত তার দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আজই তাকে রিমান্ডে নেয়ার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান ওসি শাহ কামাল আকন্দ।
এর আগে গত ১৪ ডিসেম্বর (সোমবার) নিম্ন আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগে শুভ্র হত্যা মামলায় উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের জামিন নিয়েছিলেন মেয়র রফিক।
উল্লেখ্য, গত ১৭ অক্টোবর রাত সাড়ে ১০টার দিকে গৌরীপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান শুভ্রকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় গত ১৯ অক্টোবর ১৪ জনের নাম উল্লেখসহ মোট ২২ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে হত্যা মামলা করেন নিহতের ছোট ভাই আবিদুর রহমান প্রান্ত।
মামলার আসামিরা হলেন- উপজেলা বিএনপির একাংশের যুগ্ম আহ্বায়ক রিয়াদুজ্জামান রিয়াদ, তার ছোট ভাই ছাত্রদল কর্মী কার্জন, স্থানীয় বাসিন্দা সাকিব আহমেদ রেজা, মোজাম্মেল, খাইরুল, রিফাত, হানিফ, জাহাঙ্গীর আলম, মজিবুর রহমান, সুমন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি পৌরসভার মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলাম, জেলা যুবদল নেতা সৈয়দ তৌফিকুল ইসলাম, সৈয়দ মাজাহারুল ইসলাম জুয়েল ও রাসেল মিয়া।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলামের পরিকল্পনায় আসামিরা এ হত্যাকাণ্ড ঘটান। ২০১৭ সালের ৫ এপ্রিল সৈয়দ রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে থানায় জিডি করেছিলেন নিহত মাসুদুর রহমান শুভ্র।
এ মামলার প্রধান আসামি চেয়ারম্যান রিয়াদুজ্জামান রিয়াদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি গৌরীপুর উপজেলার মইলাকান্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।