০৮ ডিসেম্বর ২০২০, ০৯:৩২

এ বছর ৩০৬৪ নারী ও শিশু নির্যাতন-ধর্ষণের শিকার

প্রতীকী ছবি

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত মোট এগারো মাসে ৯৯৩ জন নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন ২২৬ জন। এছাড়া ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হয়েছেন ৪৩ জন এবং ১২ জন আত্মহত্যা করেছেন।

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদের নিয়মিত মাসিক প্রতিবেদন থেকে জানা যায় শুধু নভেম্বর মাসে ৩৫৩ জন নারী ও কন্যা শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। ১৮ জন গণধর্ষণসহ মোট ১৫৩ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছে। দেশের ১৩ টি জাতীয় দৈনিকের হিসেব মতে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।

এছাড়া ও অসংখ্য নারী ও শিশু নির্যাতনের কথা লোক চক্ষুর অন্তরালে ঢেকে থাকে বলে জানান বিশেষজ্ঞরা। এরকম পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগের বিকল্প কোন কিছু সমাধান হতে পারে না বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. ফাতেমা রেজিনা।

তিনি বলেন, ৯০ এর দশকে নারীরা বেশি এসিড দগ্ধ হতো! সামাজিক সোচ্চার এবং আইন প্রয়োগের মাধ্যমে তা অনেকেটা কমে এসেছে। কিন্তু বর্তমানে নির্যাতন বিভিন্ন রুপ ধারণ করেছে। ধর্ষণ, গণধর্ষণ, ধর্ষণের পর হত্যা, ছেলে শিশুদের বলাৎকার, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন দিনের পর দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

সামাজিক সচেতনতা, শিক্ষার প্রসার, পুরুষতান্ত্রিক মনোভাব দূরীকরণ এবং অধিকার আদায়ে সোচ্চার হওয়ার চাইতে আইনের যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করলে এ নির্যাতন কমে যাবে এবং একটি ধর্ষণ মুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে বলে মনে করেন এই শিক্ষাবিদ।

সমাজবিজ্ঞানের এই অধ্যাপক আরো বলেন, শিশুরা পরিবারের কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হয়। শারীরিক নির্যাতনের চাইতে মানসিক নির্যাতনের শিকার হয় বেশি। একজন শিশু সন্তানের সাথে আরেক সন্তানের কম্পায়ার করা অনেক ক্ষেত্রে শিশুর মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়। শিশুদের সার্বিক বিষয় পর্যবেক্ষণ করার দায়িত্ব অভিভাবককে যথাযথ ভাবে পালন করা উচিত।

এসময় মাদ্রাসায় যারা শিশুদের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে তাদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে পারলে ছেলে সন্তান ধর্ষণের হার কমে যাবে বলে মনে করেন এই সমাজবিজ্ঞানী।