বিয়ের কথা বলে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ, কলেজছাত্রীর মামলা
রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় প্রতারণার মাধ্যমে এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের অভিযোগে এক যুবকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে ওই ছাত্রী বাঘা থানায় মামলাটি করেছেন।
অভিযুক্ত শাকিব হাসান (২৪) বাঘা উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়নের তুলসীপুর গ্রামের আমিরুল ইসলামের ছেলে। তিনি মনিগ্রাম বাজারে অবস্থিত গ্রামীণ কৃষি উন্নয়ন কর্মসূচির পরিচালক। আর ওই ছাত্রী রাজশাহীর একটি কলেজে পড়াশোনা করছেন।
মামলার অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পার্শ্ববর্তী চারঘাট উপজেলার ওই কলেজছাত্রী রাজশাহীতে পড়াশোনার সময় বাঘার চকনারায়ণপুর গ্রামের রাব্বী হাসানের (২৬) সঙ্গে পরিচয় থেকে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রায় দেড় বছর পর রাব্বী ওই ছাত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক না রাখার জন্য কৌশলের আশ্রয় নেন। তিনি বন্ধু শাকিব হাসানের (২৪) সঙ্গে ওই ছাত্রীকে পরিচয় করে দেয়। এরপর রাব্বী তাঁর মোবাইল নম্বর বদলে ফেললে শাকিব হাসানের সঙ্গে কলেজছাত্রীর যোগাযোগ হয়। বন্ধুর সঙ্গে পুনরায় যোগাযোগ করিয়ে দেওয়ার কথা বলে প্রায়ই তাঁরা ফোনে কথা বলতেন।
একপর্যায় ওই ছাত্রীকে এক মাস আগে এক বন্ধুর বাসায় ডেকে এনে শাকিব নিজে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ করেন এবং ভিডিও ধারণ করেন। ভিডিও ফেসবুক-ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে এবং বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২২ নভেম্বর আবারও ধর্ষণ করেন। পরে প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে ওই ছাত্রী সোমবার বাঘায় শাকিবের বাড়িতে যায়। শাকিবের বাবা বুঝিয়ে ওই ছাত্রীকে বাড়ি ফিরে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। পরে মেয়েটি বাড়ি না ফিরে ওই এলাকার এক দোকানের কাছে অবস্থান করে।
পরে সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে এলাকাবাসী ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশকে জানায়। পুলিশ গিয়ে ওই ছাত্রীকে রাতেই থানায় নিয়ে আসে।
বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, কলেজছাত্রী নিজে বাদী হয়ে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে। অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছেন। তাঁদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। আর মেয়েটিকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।