আত্মহত্যার হুমকি মজনুর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রী ধর্ষণের আলোচিত মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। রায়ে আসামি মজনু মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। আজ বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) দুপুর ৩টায় ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোসাম্মৎ কামরুন্নাহার এ রায় ঘোষণা করেন।
এদিকে রায় ঘোষণার আগে আজ বৃহস্পতিবার আদালতকক্ষে অস্বাভাবিক আচরণ করেছেন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মজনু। তিনি পুলিশের এক সদস্যের শার্টের কলার ধরে টান দিয়েছেন। আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছেন। পুলিশসহ উপস্থিত ব্যক্তিদের গালিগালাজ করেছেন। মজনুর এমন অস্বাভাবিক আচরণের কারণে রায় ঘোষণার আগে আদালতে উপস্থিত সাংবাদিকদের এজলাসকক্ষের বাইরে যেতে বলা হয়।
এদিন রায় ঘোষণার আগে মজনুকে বেলা আড়াইটার দিকে আদালতে তোলা হয়। আসামির কাঠগড়ায় তোলার পর মজনু অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করেন। উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে মজনু বলতে থাকেন, তাকে যেন আজই ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর গালিগালাজ শুরু করেন। একপর্যায়ে পুলিশের এক সদস্যের শার্টের কলার ধরে টান দেন।
এ রায়ে সন্তুষ্ট প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি আফরোজা ফারহানা আহম্মেদ অরেঞ্জ বলেন, ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণ মামলার একমাত্র আসামি মজনুর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়ায় আমরা সন্তুষ্ট। এ রায়ে আমরা ন্যায়বিচার পেয়েছি।
মজনুর আত্মহত্যার কাহিনী প্রথম নয়। এর আগে গত ২০ সেপ্টেম্বর এ মামলায় মজনুর গ্রহণ শেষে নিচে নামানোর সময় আদালত ভবনের ছয়তলা থেকে সে লাফিয়ে আত্মহত্যা চেষ্টা করেছে। ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু জানিয়েছেন, দণ্ড থেকে বাঁচার জন্যই মজনু এমন অভিনয় করছে।
গত ৮ জানুয়ারি ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন শেওড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় মজনুকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। গত ৯ জানুয়ারি আদালত মজনুর সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এরপর গত ১৬ জানুয়ারি মজনু দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। এর পর থেকে মজনু কারাগারে ছিল।