ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণ: একমাত্র আসামি মজনুর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

আসামি মজনু মিয়া
আসামি মজনু মিয়া  © ফাইল ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রী ধর্ষণের আলোচিত মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। এতে মামলার একমাত্র আসামি মজনু মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। আজ বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) দুপুর ৩টায় ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোসাম্মৎ কামরুন্নাহার এ রায় ঘোষণা করেন। ঘটনার আট মাসের মধ্যে মামলা আদালতে ওঠার ১৩ কার্যদিবসে বিচার শেষে এ রায় ঘোষণা করা হলো। 

এদিকে রায়ে সন্তুষ্ট প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি আফরোজা ফারহানা আহম্মেদ অরেঞ্জ বলেন, ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণ মামলার একমাত্র আসামি মজনুর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়ায় আমরা সন্তুষ্ট। এ রায়ে আমরা ন্যায়বিচার পেয়েছি।

এর আগে আসামি মজনুকে আদালতে হাজির করা হয়। গ্রেপ্তারের পর রিমান্ড শেষে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেও আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনের সময় নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছিলেন মজনু।

তিনি বলেছিলেন, ‘আমার মা ছাড়া পৃথিবীতে কেউ নেই। আমাকে মায়ের কাছে যাইতে দেন। আমি এই কাম করি নাই। আমারে ছাইড়া দ্যান।’

তবে ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী রুদ্ধদ্বার আদালত কক্ষে দাঁড়িয়ে কাঠগড়ায় দাঁড়ানো মজনুকে ধর্ষণকারী হিসেবে শনাক্ত করেছিলেন। তিনি র‌্যাবকেও বলেছিলেন, তার উপর নিপীড়নকারীর চেহারা জীবনেও ভুলতে পারবেন না তিনি।

চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যার পর ঢাকার কুর্মিটোলায় নির্জন সড়কের পাশে ধর্ষণের শিকার হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী। পরে ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। ধর্ষণের ঘটনায় ৮ জানুয়ারি ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন শেওড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে মজনুকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

৯ জানুয়ারি মজনুর রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ১৬ জানুয়ারি মজনু ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। তদন্ত শেষে দুই মাস পর গত ১৬ মার্চ ডি‌বির প‌রিদর্শক আবু বকর সিদ্দিক আদালতে অভিযোগপত্র দা‌খিল ক‌রেন। তাতে শুধু মজনুকেই আসামি করা হয়। ভুক্তভোগীর পোশাক ও মোবাইল ফোনসহ ২০টি আলামত তিনি জমা দেন আদালতে।

গত ২৬ আগস্ট ভার্চুয়ালি শুনানিতে মজনুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত। রাষ্ট্রপ‌ক্ষে মোট ২৪ সাক্ষীর মধ্যে ২০ জনের সাক্ষ্য নিয়ে রায় দিতে যাচ্ছেন বিচারক।


সর্বশেষ সংবাদ