বাসা ভাড়া নিয়ে বাকবিতণ্ডা, বাড়ির মালিকের মেয়েকে গলা কেটে হত্যা
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে স্কুলছাত্রীকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে বাড়িটির ভাড়াটিয়া স্বামী-স্ত্রীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে ওই দম্পতিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) রাতে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
গ্রেপ্তার হওয়া দুজন হলেন- বগুড়া সদর উপজেলার ফুলবাড়ি উত্তরপাড়া এলাকার বিল্লাল হোসেনের ছেলে সুমন মিয়া (২৭) ও তার স্ত্রী মিলি বেগম (২০)।
নিহত লিমু আক্তার লামিয়া গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সুত্রাপুর এলাকার সাহেব আলীর মেয়ে। সে স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ৩ মাস আগে সুমন মিয়া ও মিলি বেগম দম্পতি লিমু আক্তার লামিয়াদের বাসায় ভাড়া থাকতে শুরু করে। কয়েকদিন আগে ৫ হাজার টাকা বাসা ভাড়া বাকি নিয়ে ওই দম্পতির সঙ্গে বাড়ির মালিক লিমু আক্তার লামিয়ার পিতা সাহেব আলীর সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে সুমন ও তার স্ত্রী মিলি বেগম মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাড়ির পাশের একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে লিমু আক্তার লামিয়াকে গলা কেটে করে হত্যা করে। পরে মরদেহ পাশেই একটি খালে ফেলে দেয়।
জানা গেছে, তার পরিবারের লোকজন তাকে খুঁজে না পেয়ে থানায় বিষয়টি জানায়। খোঁজাখুঁজির সময় সুমন মিয়া পানির নীচে লামিয়ার মরদেহের উপর দাঁড়িয়ে বিভিন্ন দিকে খোঁজার জন্য পরামর্শ দেন। এসময় সুমন মিয়ার কথাবার্তা ও আচরণে সন্দেহ হলে সুমনের কাছে গিয়ে তার পায়ের নিচ থেকে লিমু আক্তার লামিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয়রা।
পরে পুলিশে খবর দিলে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। সুমন ও তার স্ত্রীকে আটক করা হলে তারা হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে।
কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী জানান, স্বামী-স্ত্রী দুজনকে আটক করা হয়েছে। হত্যার কারণ জানতে তাদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।