দুই স্কুল মালিকের শত্রুতা, আগুনে পুড়ে ছাই শিক্ষার্থীদের বই-খাতা

আগুনে পুড়ে যাওয়া বই ও খাতাপত্র
আগুনে পুড়ে যাওয়া বই ও খাতাপত্র  © সংগৃহীত

গাজীপুর সদর উপজেলায় প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গিয়ে একটি স্কুলে অগ্নিসংযোগ করার অভিযোগ উঠেছে। স্কুলটির বই, খাতা, আসবাব ও কয়েকটি ফ্যানসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র আগুনে পুড়ে গেছে। তবে কারা আগুন দিয়েছে তা জানা যায়নি। পরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন।

জানা গেছে, স্থানীয় হাজী ফজলুল হক প্রি-ক্যাডেট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতাদের সঙ্গে ওই এলাকার জলপাইতলা মডেল স্কুলের প্রতিষ্ঠাতাদের জমি নিয়ে বিরোধের জেরে আগুন দেওয়া হয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ফায়ার সার্ভিস জানায়, সোমবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে জলপাইতলা মডেল স্কুলে আগুন লাগার এ ঘটনা ঘটে। তবে দ্রুত আগুন নিভিয়ে ফেলেন স্থানীয়রা।

হাজী ফজলুল হক প্রি-ক্যাডেট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘গত ২০ এপ্রিল জমি নিয়ে বিরোধের জেরে আকবর আলী পালোয়ানের লোকজন আমার ও ছোট ভাই মুজিবুর রহমানের ওপর হামলা চালায়।’ পরে ২৩ এপ্রিল মামলা করেন তিনি। ওই মামলায় জলপাইতলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. আশরাফুল আলম গত ১০ নভেম্বর গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘পরবর্তীতে মীমাংসার জন্য দফা প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু তা না মানায় আমাদের ফাঁসাতে নিজেরাই তাদের জলপাইতলা স্কুলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।’ তিনি দাবি করেন, অগ্নিকাণ্ডের আগে প্রতিপক্ষের লোকজন তাদের সিসিটিভি ও আসবাবপত্র সরিয়ে নেয়।

এ ব্যাপারে জলপাইতলা মডেল স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা আকবর আলী পালোয়ানের স্বজনরা জানান, গিয়াস উদ্দিন এবং তার ভাই মুজিবুর রহমানের সঙ্গে জমি নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলছে। জলপাইতলা মডেল স্কুলের পাশেই হাজী ফজলুল হক প্রি-ক্যাডেট স্কুল। এ বিরোধের জেরেই গিয়াস উদ্দিনের লোকজন আগুন দিয়েছে বলে তারা দাবি করেন।

জয়দেবপুর থানার ওসি জাবেদুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, উভয় পক্ষের পূর্ব শত্রুতার জেরে উভয়পক্ষ মামলা করেছে। দুটি মামলার একটিতে সম্প্রতি জলপাইতলা স্কুলের প্রধান শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়।

গাজীপুর জেলা প্রশাসক এসএম তরিকুল ইসলাম বলেন, স্কুলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল জাকি ও পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে তিনি জানান।


সর্বশেষ সংবাদ