সহিদুন্নবী কোরআন অবমাননা করেননি: তদন্ত কমিটি
লালমনিরহাটের পাটগ্রামে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে মো. সহিদুন্নবী জুয়েল (৫০) কে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহ পোড়ানোর ঘটনায় জেলা প্রশাসকের গঠিত তদন্ত কমিটি জানিয়েছে, জুয়েল কোরআন অবমাননা করেননি। তাকে গুজব ছড়িয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
বুধবার (১১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিক সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় তদন্ত কমিটি।
এর আগে গত ৩০ অক্টোবর লালমনিরহাট অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট টিএমএ মমিনকে প্রধান করে তিন কার্যদিবস সময় দিয়ে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
মোট ৫০ জনের লিখিত ও মৌখিক বক্তব্য নিয়ে তদন্ত কমিটির সাতটি সভা করে প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করা হয়েছে। ছয়টি অধ্যায়ে ৪২টি অনুচ্ছেদে ৭৩ পাতা সংযুক্তিতে মোট ৬ পাতার তদন্ত প্রতিবেদনটি প্রস্তুত। ঘটনার ভূমিকা, বিবরণ, অধিক তথ্যানুসন্ধান, গভীর পর্যবেক্ষন, সুপারিশমালা ও মন্তব্য করা হয়েছে প্রতিবেদনে। এতে চারটি সুপারিশ স্থান পেয়েছে বলে জানান তদন্ত কমিটির প্রধান।
আজ বৃহস্পতিবার(১২ নভেম্বর) সকালে তদন্ত প্রতিবেদন জেলা প্রশাসকের নিকট জমা দেয়া হবে।
এর আগে গত ২৯ অক্টোবর লালমনিরহাটের পাটগ্রামের বুড়িমারী স্থলবন্দর কেন্দ্রীয় মসজিদে কোরআন অবমাননার অভিযোগে তুলে সহীদুন্নবী জুয়েলকে পিটিয়ে মারে বিক্ষুব্ধরা। পরে লাশ পুড়িয়ে ফেলা হয়।
নিহত যুবক সহিদুন্নবী রংপুর শহরের শালবন মিস্ত্রিপাড়ার আব্দুল ওয়াজেদ মিয়ার ছেলে। তিনি রংপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক গ্রন্থাগারিক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র। গত বছর চাকরিচ্যুত হওয়ায় কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন হারিয়ে ফেলেন তিনি।