হাসপাতালে এএসপি আনিসুলের মৃত্যুর ঘটনায় আদাবর থানায় মামলা
রাজধানীর আদাবরে মাইন্ড এইড হাসপাতালে মানসিক সমস্যায় ভোগে ভর্তি হওয়া সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুল করিম শিপনকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার( ১০ নভেম্বর) তার বাবা বাদী হয়ে ১৫ জনকে আসামি করে আদাবর থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলা নম্বর ৯ বলেও জানা গেছে।
আদাবর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহিদু্জ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, মারধর করে হত্যার ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। আজ দুপুরের দিকে সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়েছে। দুপুর ১২টার শ্যামলীতে তেঁজগাও বিভাগের উপপুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে এ বিষয়ে ব্রিফ করবেন উপপুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
এর আগে ওই ঘটনায় সম্পৃক্ততার দায়ে ৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে শেরেবাংলা থানা পুলিশ। আটককৃতদের মধ্যে হাসপাতালের ব্যবস্থাপকও রয়েছেন।
এর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হওয়া সিসিটির ভিডিও ফুটেজ আলামত হিসেবে উদ্ধার করেছে পুলিশ। যেখানে দেখা গেছে, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুল করিমকে টেনে-হিঁচড়ে ও ধস্তাধস্তি করে একটি কক্ষে নিয়ে যায় হাসপাতালের ছয় স্টাফ। দ্বিতীয় তলার ওই কক্ষে নেওয়ার পর তাকে মেঝেতে উপুর করে চেপে ধরা হয়। তাকে সেখানে ধস্তাধস্তির সময় মারধরও করা হয়। ধস্তাধস্তির ঠিক ৪ মিনিটের মাথায় একেবারে নিস্তেজ হয়ে যান পুলিশ কর্মকর্তা।
পরে সোমবার (৯ অক্টোবর) সাড়ে ১১টার দিকে সিনিয়র এএসপি আনিসুল করিমকে হাসপাতালে নেয়া হয়, ১২টার মধ্যে ওই হাসপাতালে মারা যান তিনি। এদিকে মরদেহ উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হলে বিকেলে মৃত আনিসুলের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়।